শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরে ওসাসুনার মাঠে ৩-০ গোলের জয়ে জোড়া গোল করেছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। অন্য গোলটি লুইস সুয়ারেসের। প্রথম দুটি গোলেই দারুণ অবদান রাখেন জর্দি আলবা।
পরের ১৫ মিনিটে আরও তিনটি সহজ সুযোগ নষ্ট হয় বার্সেলোনার।
দ্বাদশ মিনিটে জর্দি আলবার পাস ধরে ক্ষিপ্র সুয়ারেস ৯০ ডিগ্রি ঘুরে শট নিয়েছিলেন; কিন্তু বল লাগে পোস্টে।
দুই মিনিট পর হতাশা বাড়ান মেসি। একমাত্র বাধা গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি। কোনাকুনি শট এক পা দিয়ে কোনোমতে ঠেকান স্প্যানিশ গোলরক্ষক নাউসেত পেরেস। ২৪তম মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকার আরেকটি প্রচেষ্টা এক হাত দিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের বাকি সময়েও এক টানা আক্রমণ করে যাওয়া বার্সেলোনা বিরতির আগে মোট ১১টি শট নেয়, তবে সাফল্য মেলেনি।
পাল্টা আক্রমণে ৩১তম মিনিটে এই অর্ধের সহজতম সুযোগটি পেয়েছিল ওসাসুনা; কিন্তু গোলমুখে বলে পা লাগাতেই পারেননি স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ওরিওল রিয়েরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুর্ভাগ্য বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্বাগতিকদের সামনে। ৩০ গজ দূর থেকে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড সের্হিও লেওনের শট ক্রসবারে লাগে।
৭২তম মিনিটে মেসির ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটির উৎস ছিলেন তিনি নিজেই। বাঁ-দিকে ছুটে আসা দেনিস সুয়ারেসকে বল বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। পরে বাইলাইন থেকে আলবার দুর্দান্ত কাটব্যাক পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
আর যোগ করা সময়ে একক নৈপুণ্যে ডিফেন্ডারদের ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন মেসি। পায়ের জাদুতে দুই জনকে কাটিয়ে তিন জনের মধ্যে দিয়ে বল জালে পাঠান এবারও বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার লড়াইয়ে থাকা এই তারকা।
এবারের লিগে মেসির এটি একাদশ গোল। সমান ১০ গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তার সতীর্থ সুয়ারেস ও রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
এই জয়ে শীর্ষে থাকা রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান কমালো বার্সেলোনা। ১৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লুইস এনরিকের দল। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়ালের পয়েন্ট ৩৪।