সিটিকে হারিয়ে শীর্ষেই থাকল চেলসি

ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ভাগ্যের ফেরে প্রথমে পিছিয়ে পড়া চেলসি দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে। পেপ গুয়ার্দিওলার দলকে তাদেরই মাঠে ৩-১ গোলে হারিয়েছে আন্তোনিও কন্তের শিষ্যরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2016, 02:52 PM
Updated : 3 Dec 2016, 03:37 PM

গ্যারি ক্যাহিলের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়া চেলসি দ্বিতীয়ার্ধে দিয়েগো কস্তার গোলে সমতায় ফেরে। পরে উইলিয়ান ও এডেন হ্যাজার্ডের গোলে জয় নিশ্চিত হয় তাদের।

প্রিমিয়ার লিগে টানা অষ্টম জয়ে ১৪ রাউন্ড শেষে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকছে চেলসি। পেপ গুয়ার্দিওলার দল সিটির পয়েন্ট ৩০।

শনিবার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২০তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সের্হিও আগুয়েরোর জোরালো শট শেষ মুহূর্তে ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন গোলরক্ষক থিবো করতোয়া।

পাঁচ মিনিট পর কেভিন ডি ব্রুইনের ফ্রি-কিকে ফের্নানদিনিয়োর হেড বল জালে পাঠানোর পর রেফারির অফ সাইডের বাঁশিতে থেমে যায় স্বাগতিকদের উচ্ছ্বাস।

বিরতির ঠিক আগে প্রতিপক্ষের ভুলে এগিয়ে যায় সিটি। ডান দিক থেকে হেসুস নাভাসের ক্রস বিপদমুক্ত করতে পা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন গ্যারি ক্যাহিল, বল তার পায়ে লেগে উপরে উঠে গিয়ে জালে জড়ায়। করতোয়ার চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।

৫৬তম মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ডি ব্রুইন। ফাঁকা পোস্টে তিন গজ দূর থেকে তার নেওয়া শটে বল উপরে উঠে ক্রসবারে লাগে।

চার মিনিট পরেই কস্তার নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে চেলসি। মাঝ মাঠের আগে থেকে সেস ফাব্রেগাসের লম্বা করে বাড়ানো বল ডি-বক্সের ঠিক বাইরে বুক দিয়ে নামিয়ে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দিকে ফাঁকি দিয়ে গোলটি করেন স্পেনের এই স্ট্রাইকার।

৭০তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান বাড়ায় চেলসি। ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া কস্তার বাড়ানো বল ধরে এগিয়ে ডান দিক থেকে কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোল করেন উইলিয়ান।

গোলের পর দুই ব্রাজিলিয়ান দাভিদ লুইস ও উইলিয়ান বাহুতে থাকা কালো ব্যাজ খুলে উঁচু করে ধরেন। সম্প্রতি বিমান দুর্ঘটনায় ব্রাজিলের ক্লাব শাপেকোয়েনসের নিহত ফুটবলারদের স্মরণে দুই দলের খেলোয়াড়রাই কালো ব্যাজ পরে খেলতে নেমেছিলেন।

৯০তম মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন হ্যাজার্ড। যোগ করা সময়ের শেষ দিকে আগুয়েরো ও ফের্নানদিনিয়ো লাল কার্ড দেখলে ৯ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা। অবশ্য ততক্ষণে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।