সিঙ্গাপুরকে সমীহ করে জয়ের ছক বাংলাদেশের

দাপটের সঙ্গে এএইচএফ কাপ হকির গ্রুপ পর্ব পেরিয়েছেন জিমিরা। পরিসংখ্যানও দেখাচ্ছে, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে গত চারবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে হারেনি বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি জয়ের প্রশ্নে দারুণ প্রত্যয়ী। তবে শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে ওঠার শেষ বাধা সিঙ্গাপুরকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছে না তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2016, 03:26 PM
Updated : 25 Nov 2016, 03:26 PM

হংকংয়ের কিংস পার্ক হকি গ্রাউন্ডে শনিবার পুল ‘বি’র রানার্সআপ সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে পুল ‘এ’র চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। সেমি-ফাইনাল হয়ে ওঠা এ ম্যাচ জিতলে এএইচএফ কাপে টানা তৃতীয়বারের মতো সেরা হওয়ার শেষ ধাপে পৌঁছুবে বাংলাদেশ।

টানা তিন জয়ে গ্রুপসেরা বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্র নিয়ে গ্রুপের রানার্সআপ সিঙ্গাপুর। গ্রুপ পর্বে দারুণ সাফল্যে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকলেও বেশ সতর্ক জিমি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে অধিনায়ক জিমি বলেন, “আমরা জয়ের কথা ভাবছি। গ্রুপের সেরা হওয়ার কারণে আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে আমাদের। সবচেয়ে ইতিবাচক হলো, দলের সবাই পারফরম করছে। তবে সিঙ্গাপুরকে হালকাভাবে নিচ্ছি না। ওরাও ভালো দল; ভালো পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে নামবে।”

মামুনুর রহমান চয়ন ও জিমির নৈপুণ্যে স্বাগতিক হংকংকে ৪-২ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে চাইনিজ-তাইপেকে একই ব্যবধানে হারায়। গ্রুপের শেষ ম্যাচে আশরাফুল ইসলামের হ্যাটট্রিকে ম্যাকাওকে ১৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দলকে জয়ের পথে রাখতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন রোমান সরকার, খোরশেদুর রহমান, সারোয়ার হোসেনরাও।

দুই গ্রুপের সেরা ও রানার্সআপ হওয়া চার দলের মধ্যে বাংলাদেশই সবচেয়ে বেশি গোল (২১টি) দিয়েছে; খেয়েছেও সবচেয়ে কম; মাত্র চারটি। গত তিন ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সিঙ্গাপুরকে হারাতে আশাবাদী জিমি।

“আমরা যদি নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে ইনশাল্লাহ জিতব। শুরুর দুই ম্যাচে আমরা চার গোল খেয়েছি। ম্যাকাওয়ের বিপক্ষে আমাদের রক্ষণভাগ ভালো করেছে; আমার চাওয়া সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তারা আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলবে এবং বাকিরাও তাদের দায়িত্বটুকু আরও ভালোভাবে পালন করবে।”

২০০৮ সালে প্রথম এএইচএফ কাপের শিরোপা জেতা বাংলাদেশ ২০১২ সালেও মুকুট ধরে রাখে।