বুধবার রাতে গ্রুপ পর্বের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। এই জয়ে নকআউট পর্বের টিকেটও নিশ্চিত হয়ে গেছে লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের। প্রথম পর্বে ঘরের মাঠে সেল্টিকের বিপক্ষে ৭-০ গোলে জেতা ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন মেসি।
অন্য ম্যাচে বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটি ড্র করায় গ্রুপের শীর্ষস্থানও নিশ্চিত হয়ে গেছে বার্সেলোনার। জার্মান ক্লাবটির মাঠ থেকে ১-১ গোলে ড্র করে ফিরেছে সিটি।
অবশ্য পেপ গুয়ার্দিওলার দল পয়েন্ট হারালেও নকআউট পর্বের টিকেট নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। টানা চতুর্থবারের মতো ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো দলটি। পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জেতা বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ১২। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব সিটির পয়েন্ট ৮।
গ্ল্যাসগোর সেল্টিক পার্কে ম্যাচের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমজমাট লড়াইয়ের আভাসে প্রথম পাঁচ মিনিটে ভালো দুটি আক্রমণ করে স্বাগতিকরা; কিন্তু ডি বক্সে খেই হারিয়ে ফেলে।
একটানা আক্রমণ করে যাওয়া বার্সেলোনা সাফল্য পায় ২৪তম মিনিটে। বাঁ-দিক থেকে সময় নিয়ে উঁচু করে ডি বক্সে বল পাঠান নেইমার আর ক্ষিপ্র মেসি রক্ষণ ভেঙে ভিতরে ঢুকে পোস্ট ঘেঁষে লক্ষ্যভেদ করেন।
৩৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতেন নেইমার। রক্ষণের ভুলে ডি বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি; কিন্তু শট না নিয়ে সামনে বল বাড়ান, সতীর্থরা কেউ ছিল না সেখানে। পাল্টা আক্রমণে সুযোগ পেয়েছিল সেল্টিক। ফরাসি ফরোয়ার্ড মুসা দেম্বেলে জোরালো শট বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক মার্ক আন্ড্রে টের স্টেগান।
৪১তম মিনিটে লুইস সুয়ারেসের জোরালো হেড দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে দেন স্কটিশ গোলরক্ষক ক্রেইগ গর্ডন।
৫৫তম মিনিটে ডিফেন্ডার এমিলিও আর্তুরো নিজেদের ডি বক্সে লুইস সুয়ারেসকে টেনে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। তা থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি।
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসির এটি নবম গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার মোট গোল হলো ৯২টি। আর জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে এ মৌসুমে তার গোল হলো ১৮ ম্যাচে ২০টি।
৬৭তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণের সুবর্ণ সুযোগ হারান মেসি। বাঁ-দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে নেওয়া শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
৭১তম মিনিটে সুইডিশ ডিফেন্ডার মিকায়েল লুসটিগের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন নেইমার। দুজনকেই দেখতে হয় হলুদ কার্ড। এর ফলে গ্রুপের শেষ ম্যাচে খেলতে পারবেন না নেইমার। কিছুক্ষণ পর তাকে তুলে আর্দা তুরানকে নামান কোচ।
৮৪তম মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখাতে পারতেন সুয়ারেস। কিন্তু মেসির ছোট পাস ধরে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে তার নেওয়া শট পোস্টে লাগলে ব্যবধান আর বাড়েনি।