২০১৪ সালে বার্সেলোনায় সুয়ারেসের অভিষেকের পর এই প্রথমবারের মতো লা লিগার কোনো ম্যাচে একসঙ্গে নেই মেসি ও সুয়ারেস। দুই তারকার অনুপস্থিতিতে শনিবার আক্রমণভাগের মূল দায়িত্ব পড়ে নেইমারের কাঁধে। নবম মিনিটে ব্রাজিলের এই তারকা ফরোয়ার্ডই পেয়েছিলেন প্রথম ভালো সুযোগ। তবে পাকো আলকাসেরের পাসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে নেইমারের শট সাইড নেটে জড়ায়।
২৩তম মিনিটে নেইমারের ভুল পাস থেকে বল নিয়ে সামনে এগিয়ে বার্সালোনার সাবেক খেলোয়াড় সান্দ্রোর নেওয়া শট ঠেকান গোলরক্ষক মার্ক আন্ড্রে টের স্টেগেন।
বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের পায়ে বল গেলেই মালাগার ১০ জনই নেমে আসছিল রক্ষণে। তবে ৩১তম মিনিটে অতিথিদের ত্রাণকর্তা গোলরক্ষক কার্লোস কামেনি। ডি-বক্সের ভেতর থেকে রাফিনিয়ার শট এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পাল্টালেও শরীরের অবস্থান পাল্টে ঠেকান তিনি।
বার্সেলোনার হয়ে ৪০০তম ম্যাচ খেলতে নামা সের্হিও বুসকেতসের শট ক্রসবার উঁচিয়ে গেলে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের একই চিত্র, পাল্টা আক্রমণে যাওয়া ছাড়া পুরোপুরি রক্ষণ সামলাতে মনোযোগ ছিল মালাগার খেলোয়াড়দের। এ রকম একটি পাল্টা আক্রমণে ৫৮তম মিনিটে গোল পেয়েই যাচ্ছিল মালাগা। টের স্টেগেনকে কাটিয়েও হুয়ান কার্লোস বল পাঠান সাইড নেটে।
যোগ করা সময়ে নেইমারের জোরালো হেড গোলে ঢোকার মুহূর্তে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে দেন কামেনি। এরপর আর্দা তুরানের হেড আর পরক্ষণেই আন্দ্রে গোমেসের শট ঠেকিয়ে ম্যাচের নায়ক এই গোলরক্ষকই।
রেফারিকে খেলা শেষ করতে তাগাদা দিয়ে হুয়ান কার্লোস লাল কার্ড দেখায় ৯ জনের দলে পরিণত হয় মালাগা। তবে পরক্ষণেই কাঙ্ক্ষিত সেই শেষ বাঁশি শুনে জয় পাওয়ার মতোই আনন্দ নিয়ে কাম্প নউ ছাড়ে অতিথিরা।
জিততে পারলে আপাতত রিয়াল মাদ্রিদকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠতো বার্সেলোনা। ১২ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই থাকতে হলো লুইস এনরিকের দলকে।
দিনের প্রথম ম্যাচে দেপোর্তিভো লা করুনাকে ৩-২ গোলে হারানো সেভিয়ার পয়েন্ট ২৪।