স্পটকিক ব্যর্থতা আর দুর্ভাগ্য বাঁধ না সাধলে হতে পারতো রোনালদোর হ্যাটট্রিকও। পর্তুগালের অন্য দুই গোলদাতা ব্রুনো আলভেস ও উইলিয়াম।
২৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় পর্তুগিজরা। ডি বক্সের মধ্যে নানি ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। রোনালদোর স্পটকিকে বলে হাত লাগিয়েছিলেন গোলরক্ষক, কিন্তু রুখতে পারেননি।
৩১তম মিনিটে আবারও দূর থেকে জোরালো শটে চেষ্টা করেন রোনালদো; কিন্তু আবারও বল গোলরক্ষকের হাতে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল করার মতো পজিশনে বল পেয়েও দুর্বল শট নেন রোনালদো। ৫৮তম মিনিটে ডি বক্সে আন্দ্রে গোমেস ফাউলের শিকার হলে ফের পেনাল্টি পায় পর্তুগাল; কিন্তু এবার পোস্টে বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন তিনবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
৮৫তম মিনিটে রিকার্দো কারেসমার ক্রস ছয় গজ বক্সের ডান দিকে পেয়ে দারুণ ভলিতে জয় নিশ্চিত করেন রোনালদো। ক্লাব ফুটবলে নিজেকে খুঁজে ফেরা রিয়াল মাদ্রিদ তারকার এটি জাতীয় দলের হয়ে শেষ তিন ম্যাচে সপ্তম গোল। আর আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটা তার ৬৮তম গোল।
এরপর দুই মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূরণের দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েও হারান রোনালদো। প্রথমবার গোলমুখে বল পেয়েও পা লাগাতে পারেননি, দ্বিতীয়বার তার হেড লাগে ক্রসবারে।
এই জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখলো রোনালদোরা।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে শীর্ষে থাকা সুইজারল্যান্ড ২-০ গোলে হারিয়েছে ফারো আইল্যান্ডসকে। টানা চার জয়ে সুইসদের পয়েন্ট ১২।
আরেক ম্যাচে অ্যান্ডোরাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে হাঙ্গেরি। ৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ ফারো আইল্যান্ডস, লাটভিয়ার পয়েন্ট ৩। অ্যান্ডোরার পয়েন্ট শূন্য।