গত সোমবার এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ওঠার প্লে-অফের ফিরতি লেগে ভুটানের মাঠে ৩-১ গোলে হারে বাংলাদেশ। ভুটানের কাছে নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে এটাই বাংলাদেশের প্রথম হার। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভুটানের অবস্থান ১৮৯তম, বাংলাদেশ ১৮৫তম। পিছিয়ে থাকা দলের কাছে মামুনুলদের হার মেনে নিতে পারছেন না সমর্থকরা।
ফুটবলের প্রতি তাদের আবেগ ক্ষোভ হয়ে উঠে এসেছে প্ল্যাকার্ডে, ‘মৃত ফুটবলকে শোক জানাতে এলাম’, ‘বাংলাদেশ ফুটবল এখন মৃত’, ‘বাফুফে পঁচে গেছে, ফুটবল মরে গেছে’।
টানা তিনবার বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হওয়া কাজী সালাউদ্দিন ফুটবলকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেননি বলেই মনে করেন সমর্থকরা। সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিও করেন বিক্ষোভকারীরা। ‘সালাউদ্দিনকে অভিনন্দন, সামনে আমরা ২০০ ছোঁয়ার পথে’, ‘আর কত নিচে নামলে গদি ছাড়বেন’, বাফুফে সভাপতিকে ব্যঙ্গ করে এমন প্ল্যাকার্ডও নিয়ে আসেন তারা।
ফুটবলারদেরও কাঠগড়ায় তুলেছেন সমর্থকরা। দেশের প্রতি মামুনুল-রনিদের নিষ্ঠা, ভালোবাসা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। ‘এরপরও ফুটবলাররা মৌসুমে ৫০ লাখ টাকা পাবে’-এমন প্রশ্নও ছিল তাদের প্ল্যাকার্ডে।
বিক্ষোভকারীদের পক্ষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মুক্তার ইবনে রফিক, “বাংলাদেশের ফুটবলে এমন দিন কখনও আসেনি। বর্তমান ফেডারেশনের দাবি, খেলা সবসময় মাঠে থাকছে কিন্তু এমন খেলা থাকার দরকার কি, যদি আমরা ভুটানের সঙ্গে হেরে আসি? যে ভুটানের কাছে আমরা কখনই হারিনি, তাদের কাছে এখন আমরা সুস্পষ্ট ব্যবধানে হারছি। এতেই বোঝা যায়, আমাদের ফুটবল সঠিক মানুষের হাতে নেই।”
এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের আগে ঝরে পড়া দলগুলো নিয়ে সলিডারিট কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। ভুটানে ফিরতি লেগের আগেই বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিন জানিয়েছিলেন, থিম্পুতে ব্যর্থ হলে সলিডারিটি কাপে দল পাঠাবেন না তিনি। দল ব্যর্থ হচ্ছে জেনে আগে থেকেই সালাউদ্দিন সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন, এমন দাবিও করেন সমর্থকরা।
বিক্ষোভের সঙ্গে ফুটবলকে বাঁচানোর আর্তিও উঠে আসে রফিকের কথায়, “আমরা কারও পক্ষে এখানে আসিনি। আমরা একান্তই ফুটবল সমর্থক। তো আপনাদের সবার কাছে আমাদের দাবি, প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ, ফুটবলটাকে বাঁচান।”