বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম লেগে ড্র করায় বাছাইপর্বে উঠতে কমপক্ষে ১-১ গোলের ড্রয়ের প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। উল্টো ভুটানের কাছে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথম হারের লজ্জায় ডুবল মামুনুলরা।
থিম্পুর চ্যাংলিমেথাং স্টেডিয়ামের টার্ফে সোমবার ম্যাচের শুরু থেকেই ভুটান ছিল আগ্রাসী। তপু বর্মন, রায়হান হাসান, আতিকুর রহমান মিশুর রক্ষণভাগ তাদের রুখতে পারেনি। পঞ্চম মিনিটেই কর্নার থেকে উড়ে আসা বল জিগমে দর্জি হেড করে জালে পাঠিয়ে ভুটানকে এগিয়ে নেন।
৩০তম মিনিটে বিরেন বাসনেতের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ভুটান ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। একটু পর এনামুল হক শরীফকে তুলে নিয়ে জুয়েল রানাকে নামান সেইন্টফিট। বাংলাদেশের খেলায় কিছুটা গতি ফেরে। একটু পর রনির ব্যাক পাসে মামুনুলের শট ফেরান গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দর্জির হেড রানা ফেরালে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা গুছিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ৫৭তম মিনিটে রনিকে তুলে নিয়ে জাতীয় দলের হয়ে ১৭ গোল করা জাহিদ হাসান এমিলিকে নামান সেইন্টফিট। ছয় মিনিট পর ম্যাচে ফেরার গোল পায় বাংলাদেশ। ডান দিক থেকে মামুনুলের ফ্রি-কিক জালে জড়ায়।
দুই মিনিট পর প্রতিআক্রমণ থেকে চেনচোর করা দ্বিতীয় গোল বাংলাদেশের ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেয়। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে জোরালো শটে রানাকে পরাস্ত করেন এই ফরোয়ার্ড।
৭৯তম মিনিটে কামা তিসেরাংয়ের শট মামুন মিয়া হাত দিয়ে আটকে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দেন। তবে চেনেচোর হ্যাটট্রিকের সুযোগ বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান রানা। তবে ম্যাচে আর ফিরে আসতে পারেনি মামুনুলরা।