ভুটানকে হারিয়েই বাছাইপর্বে যেতে চায় বাংলাদেশ

ভেন্যুর উচ্চতা, ঠাণ্ডা আবহাওয়া, প্রতিপক্ষের মাঠ-সব মিলিয়ে প্রতিকূলতা অনেক। তবে সব বাঁধা পেরিয়ে ভুটান থেকে জয় নিয়ে ফিরতে মরিয়া বাংলাদেশ। দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, জয়ের জন্য সেরাটা নিংড়ে দেবেন তারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2016, 03:25 PM
Updated : 9 Oct 2016, 03:58 PM

থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায় এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ওঠার প্লে-অফের ফিরতি লেগের ম্যাচটি খেলতে নামবে মামুনুলরা।

গত সেপ্টেম্বরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম লেগের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হওয়ায় দুই দলের সামনে বাছাইপর্বে ওঠার এটাই শেষ সুযোগ।

প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে গোলের একাধিক সুযোগ নষ্ট করা বাংলাদেশকে ভাবাচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭ হাজার ২১৮ ফুট উচুঁতে ভেন্যুর অবস্থান। শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হবে মামুনুল-হেমন্তদের। সন্ধ্যায় ম্যাচ বলে ঠাণ্ডাও ভোগাবে। এছাড়া চেনা মাঠে, দর্শকের সামনে খেলার বাড়তি সুবিধাও পাবে স্বাগতিক ভুটান।

প্রতিকূলতার অন্ত নেই কিন্তু শেষ সুযোগ কাজে লাগানোর প্রতিজ্ঞা হেমন্তের।

“শেষ ৩০ মিনিট কিভাবে খেলতে হবে তা নিয়ে কোচ কাজ করছেন। আমাদেরও পরামর্শ দিয়েছেন। আশা করি, কাল সেভাবেই খেলব। ম্যাচে শতভাগ দেব। আমরা জিততে চাই।”

শাখাওয়াত হোসেন রনি, জাহিদ হাসান এমিলি, হেমন্ত, জুয়েল রানা ও এনামুল হক বাংলাদেশকে এনে দিতে পারেন প্রত্যাশিত গোল। সেটা পেলে প্রতিআক্রমণ নির্ভর খেলার ছকে থাকা সেইন্টফিটের সমীকরণ মিলেও যেতে পারে। কেননা, ভুটানের মাঠে ১-১ ড্র হলেও অ্যাওয়ে গোলের হিসেবে এগিয়ে থেকে বাছাইপর্বের টিকেট পাবে বাংলাদেশ।

“বাছাইপর্বে উঠতে হলে ভুটানকে জিততে হবে। আমাদের ড্র দরকার। চেনা দর্শকের সামনে খেলার কারণে চাপটা ভুটানের ওপর থাকবে। ভালো ফল পাওয়ার ব্যাপারে আমরা খুবই ইতিবাচক।”

চাওয়া পূরণের মিশনে নামার আগে বড় একটা ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। মা মারা যাওয়ায় দেশে ফিরতে হচ্ছে নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার ইমন মাহমুদ বাবুকে। সেরা একাদশ মোটামুটি গুছিয়ে রাখা সেইন্টফিটকে ইমনের অভাব পূরণ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।

“ইমন দক্ষ এবং কৌশলগতভাবে ভালো খেলোয়াড়। আমার পরিকল্পনায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। অনুশীলনে সে দারুণ করছিল। তার এ দুর্ঘটনায় আমরা বড় একটা সমস্যার মধ্যে আছি। তার জায়গা কাকে দিয়ে পূরণ করব, সেটা এখনও ভাবিনি।”

অবসর ভেঙে ফেরা মামুনুল ইসলামকে দিয়ে ইমনের জায়গা পূরণের সুযোগ থাকলেও তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি সেইন্টফিট। খেলতে নামলে মামুনুল অধিনায়ক, তা না হলে আশরাফুল ইসলাম রানা অধিনায়কত্ব করবে-রোববারের সংবাদ সম্মেলনে কোচের এ মন্তব্যে মামুনুলের খেলা নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

ভুটানকে সমীহ করছেন বাংলাদেশ কোচ সেইন্টফিটও। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ দলের চেনচো গাইল্তশেন ও তিসেরাং দর্জিকে। ৭ গোল নিয়ে চেনচো ভুটানের সর্বোচ্চ গোলদাতাও।

পরিসংখ্যান বাদে সবকিছুই ভুটান কোচ টরস্টেন স্পিটলার পক্ষে। ভুটানের বিপক্ষে সবশেষ ছয় ম্যাচে বাংলাদেশের জয় চারটি, বাকি দুই ম্যাচ ড্র। চেনা মাঠে খেলা হলেও নিজেদেরকে ফেভারিট মনে করছেন না এই জার্মান কোচ।

বাংলাদেশকে সমীহ করে টরস্টেন বলেন, “দুটি দলের জন্যই এটা চমৎকার একটা ম্যাচ হবে। ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো খেলোয়াড় আছে বাংলাদেশ দলে। আমরা শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করব। দুটি দলের সামনেই ম্যাচ জয়ের ফিফটি-ফিফটি সুযোগ আছে।”