সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শুরু থেকে গোছানো ফুটবল খেলা আবাহনী ২৬তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত। কিন্তু ডান দিক থেকে জুয়েল রানার বাড়ানো বলে পাঁ ছোয়াতে পারেননি ফাঁকায় থাকা ইমন বাবু।
৪২তম মিনিটে ওয়েডসেন আনসেলমের দৃষ্টিনন্দন গোলে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। বক্সের বাইরে থেকে গতিময় ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন হাইতির এই ফরোয়ার্ড।
খানিক পরই সমতায় ফেরে আবাহনী। ইমনের কর্নারে তপু বর্মন হেড করার পর বক্সের জটলার মধ্য থেকে গোল করেন আতিকুর রহমান ফাহাদ।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে শেখ জামালের রক্ষণে প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে আবাহনী। বক্সের মধ্যে হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসের শট লিঙ্কনের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। লি টাকের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন গোলরক্ষক। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সতীর্থের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লি টাকই আবাহনীকে এগিয়ে নেন।
দশ জনের দলে পরিণত হলেও ৫০তম মিনিটে জুয়েলের তৈরি করে দেওয়া সুযোগ সানডে চিজোবা কাজে লাগালে আবাহনী স্কোরলাইন ৩-১ করে নেয়।
৭৬তম মিনিটে ওয়েডসেনের হাত ধরেই স্কোরলাইন ৩-৩ করে শেখ জামাল। আবাহনীর ডিফেন্ডার মামুন মিয়াকে কাটিয়ে সুলতান আহমেদ শাকিলকে পরাস্ত করেন হাইতির এই ফরোয়ার্ড।
এই ড্রয়ের পর নয় ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল শেখ জামাল। দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা আবাহনীর পয়েন্ট ১৭।