এ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আতলেতিকোর কাছে শেষ তিন ম্যাচের দুটিতে হারল বায়ার্ন। গত মৌসুমে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জেতে আতলেতিকো। ফিরতি পর্বে বায়ার্নের মাঠে ২-১ গোলে হারলেও 'অ্যাওয়ে' গোলের সুবাদে বায়ার্নকে পিছনে ফেলে ফাইনালে উঠেছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি।
টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আতলেতিকো। পিএসভি আইন্দহোভেনকেও তাদের মাঠে একই ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোপ সেরার এবারের আসর শুরু করেছিল দিয়েগো সিমেওনের শিষ্যরা। অন্যদিকে রোস্তভকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে শুরু করা বায়ার্ন প্রথম হারের স্বাদ পেলো।
বুধবার রাতে নিজেদের মাঠ ভিসেন্তে কালদেরনে রক্ষণ অটুট রেখে বারবার আক্রমণে উঠতে থাকে আতলেতিকো। ২২তম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত তারা। কিন্তু ফের্নান্দো তোরেসের হেড পোস্টে লাগলে হতাশ হতে হয় গত মৌসুমের রানার্সআপদের।
৩৫তম মিনিটে আতলেতিকোকে এগিয়ে নেন ইয়ানিক কারাসকো। অঁতোয়ান গ্রিজমানের ছোট করে বাড়ানো পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ দিক থেকে বেলজিয়ামের এই মিডফিল্ডারের নেওয়া শট পোস্টের ভেতরের কানায় লেগে ঠিকানা খুঁজে পায়।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর একটু একটু করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে থাকে বায়ার্ন। ৬১তম মিনিটে আতলেতিকোর সাউল নিগেসের দূরপাল্লার শট লক্ষ্যে থাকনি। একটু পর কারাসকোর শট ফেরান নয়ার।
৭৪তম মিনিটে তোরেসের ব্যাক পাসে গ্রিজমানের হেড ওপরের জাল কাঁপানোর পর বায়ার্নের ফ্রাঙ্ক রিবেরির শট বাইরে দিয়ে যায়। তিন মিনিট পর চাবি আলোনসোর ফ্রি-কিকে রবের্ত লেভানদোভস্কির হেডও লক্ষ্যভ্রষ্ট।
শেষ দিকে মারমুখী খেলতে থাকা আর্তুরো ভিদাল বিপদ ডেকে আনেন বায়ার্নের। বক্সের মধ্যে লুইসকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু গ্রিজমানের শট নয়ারকে ফাঁকি দিলেও ক্রসবারে লেগে ফিরলে ব্যবধান বাড়েনি।
গ্রুপের অপর ম্যাচে রোস্তভের মাঠে আইন্দহোভেন ২-২ গোলে ড্র করেছে।