বরুসিয়া পার্কে বুধবার রাতে বার্সেলোনার গোল দুটি করেন আর্দা তুরান ও জেরার্দ পিকে।
‘সি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সেল্টিককে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া বার্সেলোনা জার্মানি গিয়েছিল দলের সবচেয়ে বড় তারকা চোটে পড়া লিওনেল মেসিকে ছাড়াই। এমএসএন ত্রয়ীর অন্য দুই সদস্য নেইমার ও লুইস সুয়ারেস সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে সহজ জয়ই পেতে পারতো লুইস এনরিকের দল।
সপ্তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগটি নেইমার নষ্ট করেন ডি-বক্সের মাঝ থেকে গোলরক্ষক ইয়ান সমার বরাবর শট নিয়ে।
চার মিনিট পর সুয়ারেসের মাথায় হাত! কাছ থেকে উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারের ভলি বাঁক না খেলে গোলে ঢুকতে পারতো।
সুয়ারেস আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন ২১তম মিনিটে। কাছ থেকে নিজে শট না নিয়ে স্বার্থত্যাগ করে তিনি বল দিতে গিয়েছিলেন পাকো আলকাসেরকে।
৩৪তম মিনিটে মাঝমাঠে বুসকেতস বলের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় মনশেনগ্লাডবাখ। মিডফিল্ডার মাহমুদ দাহুদ বল নিয়ে এগিয়ে বাঁয়ে বাড়ান রাফায়েলকে। ব্রাজিলের এই মিডফিল্ডারের নীচু ক্রস থেকে গোলরক্ষক মার্ক আন্ড্রে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করেন ১০ নম্বর জার্সিধারী টরগান হাজার্ড।
এক ঘণ্টার মাথায় মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার আগে গোলরক্ষক বরাবর শট মেরে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন বার্সেলোনার মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচ।
তবে রাকিতিচের বদলি হিসেবে নামা তুরান প্রথম সুযোগটাই কাজে লাগান। ৬৫তম মিনিটে ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড নেইমারের বাড়ানো বলে কাছ থেকে তুরস্কের অধিনায়কের জোরালো ভলি আর রুখতে পারেননি গোলরক্ষক।
৭৪তম মিনিটে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন সুযোগসন্ধানী পিকে। নেইমারের কর্নার থেকে সুয়ারেসের জোরালো শট গোলরক্ষক ফেরালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল জালে পাঠিয়ে দেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার।
৭৭তম মিনিট তুরানের বুদ্ধিদীপ্ত চিপ কোনোরকমে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রক্ষণাত্মক খেলা স্বাগতিকরা পরে আর কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
‘সি’ গ্রুপে দুই ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৬। গ্রুপের অন্য ম্যাচে সেল্টিকের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করা ম্যানচেস্টার সিটি ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।