ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শনিবারের এই ম্যাচে প্রথমার্ধেই গোল চারটি করেন ইউনাইটেডের ক্রিস স্মলিং, হুয়ান মাতা, মার্কাস র্যাশফোর্ড, পল পগবা। ডেমারি গ্রে একটি গোল শোধ করেন দ্বিতীয়ার্ধে।
অগাস্টের শুরুতে লেস্টারকে হারিয়েই এফএ কমিউনিটি শিল্ডের শিরোপা জিতে মৌসুম শুরু করেছিল ইউনাইটেড।
লেস্টার সিটির মৌসুমের শুরুটা ভালো হয়নি। শনিবার দুপুরে শুরুতে অবশ্য ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল রিয়াদ মাহরেজরা। তাদের আক্রমণাত্মক ফুটবলে প্রথম ২০ মিনিটের অধিকাংশ সময় নিজেদের ঘর সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হয় ইউনাইটেডকে।
এগিয়ে গিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা মরিনিয়োর শিষ্যরা একের পর এক আক্রমণ করতে শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় পাঁচ মিনিটের মধ্যে তিন বার বল জালে জড়িয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তারা।
পাঁচ মিনিটের ঝড়ের শুরুটা হয় চমৎকার এক গোল দিয়ে: ডান দিক থেকে আক্রমণে ওঠা মাতার বাড়ানো বল ধরে পল পগবা চিপ করেন জেসে লিনগার্ডকে। ইংলিশ এই মিডফিল্ডারের ফ্লিক পেয়ে একটু আড়াআড়ি দৌড়ে ১৫ গজ দূর থেকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন স্পেনের ফরোয়ার্ড মাতা।
তিন মিনিট পর বাইলাইনের কাছ থেকে ছোট্ট টোকায় মাতার বাড়ানো বল গোলমুখে পেয়ে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন ছন্দে থাকা র্যাশফোর্ড। আর ৪২তম মিনিটে ব্লিন্ডের কর্নারে সঙ্গে লেগে থাকা এক খেলোয়াড়কে এড়িয়ে দারুণ হেডে স্কোরলাইন ৪-০ করেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় পগবা।
৬৬তম মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখাতে পারতেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। কিন্তু তার জোরালো নীচু শট ঝাঁপিয়ে কোনোমতে এক হাত দিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
৭৭তম মিনিটে দূরপাল্লার বাঁকানো শটে দ্বিতীয় গোল পেতে পারতেন গ্রে; তবে এ যাত্রায় বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাত দিয়ে শেষ মুহুর্তে রুখে দেন গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া।
এই জয়ের পর ইউনাইটেডের পয়েন্ট বেড়ে হলো ছয় ম্যাচে ১২। সমান ম্যাচে মাত্র দুটিতে জেতা লেস্টারের পয়েন্ট ৭।