গুয়ার্দিওলার ফোন পেয়েই সিটিতে ব্রাজিলের জেসুস

গাব্রিয়েল জেসুসকে দলে নিতে ইউরোপের অনেক দল চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন তিনি। এ সিদ্ধান্তের পিছনে ইংলিশ দলটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার একটা ফোনকল বড় ভূমিকা রাখে বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2016, 02:45 PM
Updated : 21 Sept 2016, 02:47 PM

গত মাসে জেসুসের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব সিটি। ব্রাজিলিয়ান লিগের চলতি মৌসুম শেষ হলে পালমেইরাস ছেড়ে নতুন সতীর্থদের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।

২০১৬ সালে স্বদেশের ক্লাবটির হয়ে ৩০ ম্যাচে ১৬ গোল করেছেন ১৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ব্রাজিলকে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক সোনা জেতাতেও বড় ভূমিকা রাখেন তিনি।

গণমাধ্যমের খবর, স্পেনের জনপ্রিয় দুই ক্লাব বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ, সিটির প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং জার্মানির সফলতম ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ জেসুসকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এত বড় বড় সব ক্লাবে খেলার সুযোগের হাতছানি উপেক্ষা করে ইতিহাদ স্টেডিয়ামের দলটিতে যোগ দেওয়ার মূল কারণ সেখানে গুয়ার্দিওলার উপস্থিতি।

“এটা জটিল একটা সিদ্ধান্ত ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার শেখার তাড়নাই জয়ী হয়। কোচ হিসেবে সিটিতে গুয়ার্দিওলার উপস্থিতি এবং এটা দারুণ একটা ক্লাব- বিষয়গুলো আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পিছনের গুরুত্বপূর্ণ কারণ।”

“আমার সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্তে গুয়ার্দিওলার ফোনকলের একটা ভূমিকা ছিল। এর মাধ্যমে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, তার সঙ্গে কাজ করতে আমার ভালো লাগবে।”

সের্হিও আগুয়েরো, রাহিম স্টার্লিং, কেভিন ডি ব্রুইন, নোলিতো ও দাভিদ সিলভারা থাকায় এখনই সিটির আক্রমণভাগে জায়গা করে নেওয়াটা বেশ কঠিন। সেখানে জেসুস যোগ দিলে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বৈকি। তবে তাতে মোটেও ভীত নন তিনি।

“দলে এক জন উইঙ্গার হিসেবে জায়গা পাওয়ার জন্য আমি লড়াই করব। আমি মূলত এক জন স্ট্রাইকার হওয়ার চেয়ে লেফট উইঙ্গার হিসেবে খেলতে পছন্দ করি। তবে একটা বিষয় আমি পরিষ্কার করতে চাই যে, আমি যেকোনো পজিশনে খেলতে প্রস্তুত।”

“এসব (পজিশনে) পরিবর্তন আমাকে একটুও ভীত করে না। আমার জীবন সবসময়ই চ্যালেঞ্জে ভরপুর ছিল। অবশ্যই এটা বড়, তবে সেরা লড়াইটা তো সেরা যোদ্ধাকেই দেওয়া হয়। যত দ্রুত সম্ভব মানিয়ে নিতে এবং উন্নতি করতে আমি কোচের মতামত ও পরামর্শ শুনবো।”