পুরস্কার পাওয়া কৃষ্ণাদের আরও ভালোর প্রতিশ্রুতি

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের সদস্যরা দেড় লাখ টাকা করে পুরস্কার পেয়েছেন। কৃষ্ণা-সানজিদারাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, মাঠে নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিয়ে দেশের জন্য আরও সম্মান বয়ে আনার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2016, 01:12 PM
Updated : 19 Sept 2016, 02:48 PM

রাজধানীর একটি হোটেলে সোমবার এক অনুষ্ঠানে নারী ফুটবল দলের ২৩ ফুটবলার ও তিন কোচকে তিন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান সাইফ গ্লোবাল স্পোর্টস, জেমকন গ্রুপ ও ক্যাল্ডওয়েল ডেভেলপমেন্ট প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেয়। আর এসএস সলিউশন আগামী এক বছর ক্যাম্পে থাকা ফুটবলার ও কোচদের প্রত্যেককে মাসিক ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

এসএস সলিউশনের ভাতা ১০ হাজার টাকা করে শোনা গেলেও টাকার অঙ্ক নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মহিলা শাখার চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে কিরণ বলেন, “বিধিনিষেধের কারণে টাকার ভাতার অঙ্কটা বলতে পারছি না বলে দুঃখিত।”

পুরস্কারের অঙ্ক যাই হোক, ফুটবলার-কোচরা আগামী বছর থাইল্যান্ডে হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে ভালো করতে উন্মুখ হয়ে আছেন।

জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড সানজিদা আক্তার বলেন, “ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ। আমি এবং আমার পরিবার, বাকি যারা আমাদের সঙ্গে আছে, তারা সবাই খুশি। সবার পরিবার এসে দেখে গেছে, আমরা কোথায় থাকি, কিভাবে থাকি। আমরা যেন আগামীতে দেশের জন্য আরও ভালো কিছু করতে পারি, এমন সংবর্ধনা আরও পেতে পারি, সে চেষ্টা করব।”

অনুচিং মোগিনী সাংবাদিকদের বললেন, “ক্যাম্পের সময়টাতে আমাদের ঠিকমতো অনুশীলন করতে হবে; খাওয়া-দাওয়া ঠিক করে ফিটনেস ধরে রাখতে হবে। যাতে আমরা মূল পর্বেও ভালো করতে পারি।”

অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকারও দিলেন একই প্রতিশ্রুতি।

“সামনের দিনগুলোতে আমরা আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নেব। আমরা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে আছি, খেলছি। আমাদের বোঝাপড়া ভালো হওয়ায় আমরাও সেভাবেই মূল পর্বের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি, আমরা মূল পর্বে ভালো খেলব।”

কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন সোমবারের অনুষ্ঠানের পর মেয়েদের ফুটবল নিয়ে আরও বেশি আশাবাদী হয়ে উঠেছেন, “আর্থিক সুবিধা এভাবে চলতে থাকলে দেখবেন মেয়েদের ফুটবলও দ্রুত পেশাদার কাঠামোতে আসতে থাকবে। এবার যেমন সবার অভিভাবকরা এখানে এলেন; দেখলেন তাদের মেয়েরা কেমন আছে। কিভাবে থাকছে। কি খাচ্ছে। এখন সব অভিভাবকই মেয়েদের নিয়ে নিরাপদ বোধ করবে। ফলে, আগামীতে অনেক অভিভাবকও মেয়েদের ফুটবলে পাঠাতে আগ্রহ দেখাবে।”

অনুষ্ঠানের ‍শুরুতেই কৃষ্ণাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

“আজকের দিনটা তোমাদের। তোমরাই আজ আমাদের কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছ। আশা করি, ভবিষ্যতেও আরও বলার সুযোগ করে দেবে। তোমাদের অর্জনে দেশবাসী খুশি। কিন্তু এখন তোমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। এখন সবাই তোমাদের খেলার খবর রাখবে।”

মেয়েদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কিরণ।

“অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে তোমাদের অভিনন্দন জানাতে চাই। এই মেয়েদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ; যখন যা বলেছি, তারা শুনেছে। এই মেয়েদের সম্মান করতে যে পৃষ্ঠপোষকরা এগিয়ে এসেছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। সবাই পাশে থাকলে আশা করি, আমরা মূল পর্বে ভালো করে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারব।”