রোববার রাতে স্পেনের শীর্ষ লিগের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও গ্যারেথ বেলকে ছাড়া খেলতে নামা রিয়াল।
২০১১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কাম্প নউতে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৩-০ গোলে হারিয়ে লা লিগায় টানা ১৬ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছিল পেপ গুয়ার্দিওলার বার্সেলোনা। তা ছোঁয়ার পথে গত মৌসুমের শেষ ১২ ম্যাচের পর চলতি মৌসুমে প্রথম চার ম্যাচ জিতল জিনেদিন জিদানের দল।
এসপানিওলের মাঠে অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো রিয়াল। কিন্তু ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন সের্হিও রামোস। তিন মিনিট পর সহজ সুযোগ হারায় এসপানিওল; ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড লিও বাপতিস্তাওয়ের বিনা বাধায় নেওয়া নীচু শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক কিকো কাসিয়া।
অসুস্থতার কারণে আগে থেকেই দলের বাইরে আক্রমণভাগের দুই তারকা রোনালদো ও বেল। ১৯তম মিনিটে সে তালিকায় যোগ হয় কাসেমিরোর নাম; পায়ে ব্যথা পেয়ে ছিটকে পড়েন ব্রাজিলের এই মিডফিল্ডার। বদলি নামেন জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুস।
অবশেষে যোগ করা সময়ে হামেস রদ্রিগেসের নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় রিয়াল। দুই জনকে কাটিয়ে বল পায়ে কিছুটা এগিয়ে অনেকটা দূর থেকে নীচু কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন কলম্বিয়ার এই মিডফিল্ডার।
৫৯তম মিনিটে বেনজেমার দুর্দান্ত ভলি দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। ৭১তম মিনিটে তাকে আর রুখতে পারেননি দিয়েগো লোপেস। ডান দিক থেকে লুকাস ভাসকেসের বাড়ানো পাসে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।
চার ম্যাচের শতভাগ সাফল্যে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিরেছে রিয়াল।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৯। সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে লাস পালমাস।
সমান ৮ করে পয়েন্ট নিয়ে সেভিয়া চতুর্থ, ভিয়ারিয়াল পঞ্চম ও আতলেতিকো মাদ্রিদ ষষ্ঠ স্থানে আছে।