দুই অর্ধে একটি করে গোল করেন সানচেস। আর্সেনালের অন্য দুই গোলদাতা থিও ওয়ালকট ও গ্রানিত জাকা।
হাল সিটির মাঠে শনিবার স্থানীয় সময় বিকালে সপ্তদশ মিনিটে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড অ্যালেক্স আইওবির নীচু শট সামনে থাকা আলেক্সিস সানচেসের পায়ে লেগে ভিতরে ঢোকে।
২৭তম মিনিটে আইওবির শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়েও ক্রসবারের উপর দিয়ে মেরে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মেসুত ওজিল।
৪১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার মোক্ষম সুযোগ নষ্ট করেন সানচেস। চিলির এই তারকা স্ট্রাইকারের স্পটকিক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক এলদিন ইয়াকুপোভিচ।
৫৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আর্সেনাল। আইওবির পাস পেয়ে ডান দিক থেকে কোনাকুনি শট নেন থিও ওয়ালকট। হেড করে তা প্রতিহত করতে পারেননি হাল সিটির ইংলিশ ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ার।
৭৮তম মিনিটে স্কটল্যান্ডের মিডফিল্ডার রবার্ট স্নডগ্রাস পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান। ডি বক্সে বল পায়ে ঢুকে পড়া কঙ্গোর ফরোয়ার্ড দিউমের্সি এমবোকানিকে গোলরক্ষক পেতর চেক ফাউল করায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
তবে এর চার মিনিট পরেই নিজের দ্বিতীয় গোলে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন সানচেস। ওয়ালকটের শট গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল ধরে জোরালো শটে বল জালে জড়ান চিলির এই ফরোয়ার্ড।
লিভারপুলের কাছে হেরে লিগ শুরুর পর লেস্টার সিটির কাছে নিজেদের মাঠে পয়েন্ট হারিয়েছিল আর্সেনাল। তবে শেষ দুই রাউন্ডে যথাক্রমে ওয়াটফোর্ড ও সাউথ্যাম্পটনকে হারায় আর্সেন ভেঙ্গারের দল। টানা তৃতীয় এই জয়ের পর আর্সেনালের পয়েন্ট হলো ১০।
শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি দিনের অন্য ম্যাচে বোর্নমাউথকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। পাঁচ ম্যাচে সবকটিতে জেতা পেপ গুয়ার্দিওলার দলের পয়েন্ট ১৫।
আরেক ম্যাচে লেস্টার সিটি ৩-০ গোলে হারিয়েছে বার্নলিকে। পাঁচ ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ৭।