বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আমিরাতকে ৪-০ গোলে হারায় কৃষ্ণারা। ইরানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শুরু করা মেয়েরা পরের তিন ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৫-০, কিরগিজস্তানকে ১০-০ ও চাইনিজ তাইপেকে ৪-২ গোলে হারায়।
মেয়েদের এমন দাপুটে পারফরম্যান্স নিয়ে ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় ছোটন বলেন, “আজকে আমরা মহিলা ফুটবলের জন্য দারুণ কীর্তি অর্জন করেছি। মেয়েদের স্যালুট।”
জয় দিয়েই বাছাই পর্ব শেষ হওয়ায় কোচের খুশিটা আরও বেশি।
“শেষটা ভালো হয়েছে। মাঠের অবস্থা বাজে ছিল। তারপরও মেয়েরা আধিপত্য করেছে। একদিন পর খেলা হওয়ায় মেয়েরা খুব ক্লান্ত ছিল। তারপরও মেয়েরা তাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলে জয় বের করে এনেছে।”
আট গোল করা কৃষ্ণা রানী সরকার ও পাঁচ গোল করা অনুচিং মোগিনীর আলাদাভাবে প্রশংসা করেন কোচ। সহকারী কোচ মাহাবুবুর রহমান লিটু, মাহমুদু আক্তার অনন্যা ও বাফুফের মহিলা শাখার চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি ছোটন।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে ভারতে হবে মেয়েদের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। এ টুর্নামেন্ট নিয়ে এখন থেকে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন ছোটন।
“ঈদের ছুটির পর অনুশীলন শুরু হবে। তবে ঈদের সময়ের রুটিনও মেয়েদের দিয়ে দিয়েছি। আমাদের এখন আর বসে থাকার সময় নেই। সামনে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আছে। এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে উঠেছি। সেখানে কঠিন পরীক্ষা দিতে হলে তাদের মানের দলগুলোর সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে হবে।”
প্রস্তুতিতে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার ইচ্ছার কথা জানালেন অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকারও।
“আমরা তো মূল পর্বে চলেই গেছি। আট দলের খেলা। তারা শক্তিশালী। আমাদের লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে। বিদেশি দলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে হলে প্রস্তুতিটা ভালো হবে।”