অবসরের ঘোষণা মামুনুলের

হঠাৎ করেই জাতীয় দলকে বিদায় বলে দিয়েছেন মামুনুল ইসলাম। নির্ভরযোগ্য এই মিডফিল্ডার জানিয়েছেন, ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচে দলে জায়গা না পাওয়ায় অপমানিত বোধ করেছেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2016, 06:04 AM
Updated : 5 Sept 2016, 12:21 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে আগামী মঙ্গলবার এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে ওঠার প্লে-অফের প্রথম লেগের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের জন্য টম সেইন্টফিটের দলে ঠাঁই পাননি মামুনুল।

ভুটান ম্যাচের দলে জায়গা না পাওয়ার ক্ষোভে অবসরের সিদ্ধান্ত কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে মামুনুল বলেন, “গতকাল পর্যন্ত আমি জানতাম, ভুটানের বিপক্ষে খেলব। আজ শুনলাম আমি নেই। আমি অধিনায়ক। অনেক দিন ধরে দেশকে সেবা দিচ্ছি। আমার সঙ্গে একটু কথা না বলেই কোচ সিদ্ধান্ত নিলেন। আমি অপমানিত বোধ করছি। তাই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

“আসলে অনেক আগেই আমার চলে যাওয়া উচিত ছিল; কিন্তু দেশকে আমি আরও কিছু দিন কিছু দিতে চেয়েছিলাম বলে অপরাধ না করেও ক্ষমা চেয়ে ফিরেছিলাম। কিন্তু এভাবে অপমানিত হতে আর ভালো লাগে না। অনেক ভেবে-চিন্তেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। দুপুরে বাফুফেকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে চিঠি দেব।”

বাঁ পায়ের মাংশপেশীর চোটের কারণে মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলেননি মামুনুল। তখন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছিলেন, ভুটান ম্যাচের আগে পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্যই মালদ্বীপের বিপক্ষে না খেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ভুটানের বিপক্ষে প্লে-অফ খেলে জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর লক্ষ্য ছিল বলেও জানান মামুনুল। কিন্তু প্রথম লেগের ২৩ জনের দলে ঠাঁই না মেলায় সে চাওয়া পূরণ হলো না ২০০৭ সাল থেকে জাতীয় দলে খেলা এই মিডফিল্ডারের।

“মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার ইচ্ছা ছিল। টিম ম্যানেজমেন্টও বলেছিলাম ভুটান ম্যাচের পর সরে দাঁড়াব কিন্তু তারা আমাকে সে সুযোগটা দিল না।”

সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ব্যর্থতার পর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ মামুনুলসহ চার ফুটবলার বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ হন। পরে ক্ষমা চেয়ে দলে ফেরেন মামুনুল। সে সময় দলের প্রয়োজনে ফিরলেও এবার সিদ্ধান্তের বদল হবে না বলে জানান তিনি।

“এখন আর জাতীয় দলকে সার্ভিস দেওয়ার মতো সামর্থ্য নাই। যেহেতু ২৩ জনের দলে আমি নেই; সেহেতু আমার দেওয়ার সামর্থ্যও নেই। তাহলে আর থাকার মানে নেই।”

“রাগের মাথায় না, অনেক সময় নিয়ে ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিবারকে এখন সময় দিতে হবে। বুঝতে পারছি মাঠে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারব না। কিন্তু আমিও দেখতে চাই, আমার জায়গায় একজন খেলোয়াড় এসে খেলুক। সিদ্ধান্তটা আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল। এ সিদ্ধান্তে আমার পরিবার আরও খুশিই হবে।”

লিগে চট্টগ্রাম আবাহনীর জার্সিতে নিজের সেরাটা নিংড়ে দেওয়ার কথাও বলেন ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার, “আমার প্রমাণ হবে ঢাকার মাঠে; আমি যে সেরা খেলোয়াড়, সেটা আবারও করে দেখাব। জাতীয় দলের হয়ে আমার প্রমাণের কিছু নেই। আসলে যেখানে অপমানিত হই, সেখানে আমি থাকি না।”