টানা চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করা বাংলাদেশ ২০১৭ সালে চীনে মূল আসরে খেলবে। আগামী সোমবার গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হারলেও সমস্যা নেই। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হারা ইরান ও তাইপে দুই দলেরই পয়েন্ট ৯। শেষ ম্যাচে তারা জিতলেও হেড টু হেডের হিসেবে পিছিয়ে থাকবে।
গত আসরের সেরা চার দল উত্তর কোরিয়া, চীন, জাপান ও থাইল্যান্ড সরাসরি মূল পর্বে খেলবে। বাছাইয়ে চার গ্রুপ থেকে মূল পর্বে উঠবে বাকি চার দল।
শনিবার রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গ্যালারি মুখরিত হয়ে ওঠে দর্শকদের কলরবে। মেয়েদের পায়ে বল গেলেই উৎসাহ দেয় তারা। হতাশ করেনি মেয়েরাও। দুটি পেনাল্টি থেকে গোল করেন শামসুন্নাহার। একটি করে গোল করেন কৃষ্ণা রানী সরকার ও মার্জিয়া।
ম্যাচের শুরুতে ডান দিক দিয়ে অধিনায়ক কৃষ্ণা, বাঁ দিক দিয়ে শামসুন্নাহার পর পর দুটি আক্রমণে গেলেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। চতুর্থ মিনিটে গোলরক্ষক মাহমুদা বাংলাদেশের ত্রাতা। পাল্টা আক্রমণে বল নিয়ে দ্রুত বক্সে ঢুকে পড়া উ দাই-লিংয়ের শট দৌড়ে এসে আটকান তিনি।
২৮তম মিনিটে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ডি-বক্সের মধ্যে কৃষ্ণাকে ডিফেন্ডার চেং চাও-ই ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। দুই হলুদ কার্ড দেখে চেং মাঠ ছাড়েন। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে কোনো সুযোগ না দিয়ে শামসুন্নাহারের মাটি কামড়ানো শট জালে জড়ায়।
সমতায় ফেরার পর প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ বাড়িয়ে ৩৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের মধ্যে কৃষ্ণাকে তাইপের অধিনায়ক সু ইউ-হুসান ট্যাকল করলে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। শামসুন্নাহার এবারও ভুল করেননি।
৫৬তম মিনিটে অনুচিং-কৃষ্ণার সম্মিলিত প্রচেষ্টা সফল হলে জয়ের পথে ছুটতে থাকে বাংলাদেশ। অনুচিংয়ের বাড়ানো বলে কৃষ্ণার বাঁ পায়ের জোরাল শট পরাস্ত করে গোলরক্ষককে।
৭৭তম মিনিটে মৌসুমী জাহানকে ফাউল করা হলে বক্সের একটু ওপরে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। স্বপ্না সে সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি। তবে দুই মিনিট পর মার্জিয়ার গোলে ম্যাচে ফেরার আশা শেষ হয়ে যায় চাইনিজ তাইপের।
শনিবার প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ১১-০ গোলে হারায় ইরান। দ্বিতীয় ম্যাচে কিরগিজস্তানের বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয় পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।