সেরা সাফল্যের আশায় বাকু যাচ্ছে দাবা দল

নিজেদের সেরা সাফল্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দাবা অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে দাবা অলিম্পিয়াডের ৪২তম আসর।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2016, 01:34 PM
Updated : 29 August 2016, 02:28 PM

২০১২ সালে ইস্তানবুলে হওয়া অলিম্পিয়াডের উন্মুক্ত বিভাগে ৩৩তম স্থান পাওয়া বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। চার গ্র্যান্ডমাস্টারসহ ১০ দাবাড়ুর এবারের দলটি যাচ্ছে আগের সেরা ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে।
 
ছেলেদের পাঁচ জনের দলে চার গ্র্যান্ডমাস্টার আব্দুল্লাহ আল রাকিব, এনামুল হোসেন রাজীব, নিয়াজ মোর্শেদ ও জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আছেন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ও আন্তর্জাতিক মাস্টার মিনহাজউদ্দিন আহমেদ।
 
মেয়েদের পাঁচ জনের দলে আছেন দুই আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার রানী হামিদ ও শামীমা আক্তার লিজা। তিন মহিলা ফিদে মাস্টার শামীমা শারমিন শিরিন, জাকিয়া সুলতানা ও নাজরানা খান ইভা।
 
লিজা পর্তুগালের লিসবনে আছেন; সেখান থেকেই বাকুতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।
 
বিদেশি কোচ না থাকায় এবার অলিম্পিয়াডের জন্য নিজেদের মতো করে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। মহিলা দলকে অবশ্য প্রশিক্ষণ দেন গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব।
 
বিদেশি কোচ না পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহবুদ্দিন শামীম বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “একজন বিদেশি কোচের জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু স্বল্প সময়ে যোগাড় করতে পারিনি।” 
 
ইস্তানবুলের সাফল্য ২০১৪ সালের নরওয়ের ট্রমসোতে হওয়া ৪১তম অলম্পিয়াডে ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ; ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে হওয়া উন্মুক্ত বিভাগে হয়েছিল ৬৪তম।
 
নিজেদের মধ্যে আইডিয়া-কৌশল দেওয়া-নেওয়াটা কাজে আসবে মানলেও অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতিতে কমতি থাকার কথা স্বীকার করেছেন নিয়াজ। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই গ্র্যান্ডমাস্টার বলেন, “অনেকে বলেছেন, গ্র্যান্ডমাস্টারদের অভিজ্ঞতা বেশি। তারা থাকলে ফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু আমার প্রস্তাব হলো, যে বছর অলিম্পিয়াড থাকে, সে বছর যেন দাবাড়ুরা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বেশি খেলার সুযোগ পায়, সেদিকটা খেয়াল রাখা উচিত।”