প্রথম ম্যাচে স্পোর্তিংয়ের কাছে হারা বিলবাওয়ের আক্রমণভাগও পাল্টা আক্রমণ থেকে অনেক সুযোগ তৈরি করে; কিন্তু তার একটাকেও গোলে পরিণত করতে পারেনি তারা।
রোববার বিলবাওয়ের মাঠ সান মামেসে শুরুতেই গোল খেতে বসেছিল বার্সেলোনা। ডি বক্সের বাঁ-দিক থেকে সতীর্থের ব্যাকপাস ধরে আলতো করে সামনে বাড়িয়েছিলেন মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান। ছুটে এসে বল ধরে শট নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বেনাত; তবে সেটা জার্মান গোলরক্ষকের মুখে লেগে ফিরলে বেঁচে যায় অতিথিরা।
পরের ১০ মিনিটে আরও দুটি ভালো আক্রমণ করলেও নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
এরপরই রাকিতিচের চমৎকার হেডে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। বাঁ-দিক থেকে আর্দা তুরানের দারুণ ক্রস ছয় গজ বক্সের সামনে পেয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার।
৪৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সহজ সুযোগ পান তুরান; কিন্তু মেসির পাস ছয় গজ বক্সের বাঁদিকে ফাঁকায় পেয়েও পাশের জালে মারেন।
৫৪তম মিনিটে কিছুটা আড়াআড়ি দৌড়ে এক জনকে এড়িয়ে ডি বক্সের মাথা থেকে শট নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু বল পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৬৯তম মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়েও ক্রসবারের উপর দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা তারকা।
বেতিসের বিপক্ষে ৬-২ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে দুইবার বল জালে পাঠানো মেসি এদিন অনেক সুযোগ তৈরি করে দেন। নিজেও হাতছাড়া করেন বেশ কয়েকটি সুযোগ।
৮১তম মিনিটে সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন সুয়ারেস। এক ঝটকায় একজনকে ফেলে দিয়ে আরেক জনকে কাটানোর পর সামনে বাধা ছিল শুধু গোলরক্ষক; কিন্তু বাইরে মেরে তা নষ্ট করেন।
৮৫তম মিনিটে ভাগ্য একটু সহায় হলে সমতায় ফিরতে পারতো বিলবাও; কিন্তু বেনাতের ফ্রি-কিক পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে গেলে হতাশাতেই মাঠে ছাড়ে তারা।
৯৩তম মিনিটে ম্যাচের সহজতম সুযোগটি নষ্ট করেন সুয়ারেস। এক জনের বাধা এড়িয়ে ফাঁকায় সুযারেসকে বল বাড়ান মেসি; কিন্তু নিষ্প্রভ উরুগুয়ে স্ট্রাইকারের আস্তে করে মারা শট ঠেকিয়ে দেন গোললাইনে দাঁড়ানো এক খেলোয়াড়।
এই ম্যাচের আগে গ্রানাদাকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া লাস পালমাস ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্টও সমান ৬, তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তারা।