বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের ম্যাচটি শুরু হবে আগামী সোমবার সন্ধ্যা ৬টায়।
ইরানের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়লেও শিষ্যদের পা মাটিতে রাখার পরামর্শ দেন ছোটন। বাফুফের টার্ফে অনুশীলনের ফাঁকে কোচ সব প্রতিপক্ষকেই সমীহের চোখে দেখার কথা জানান।
“সবাইকে আমি শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে নিচ্ছি এবং ইরানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আমরা যেভাবে খেলেছি, সেভাবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও শতভাগ দেব। সিঙ্গাপুরের গতকালের ম্যাচ দেখেছি। তাদের কিছু সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় আছে।”
“ইরানের বিপক্ষে জেতার পর মেয়েদের শান্ত থাকতে বলেছি। অনেক লম্বা পথ। আমরা মাত্র একটা ম্যাচ জিতেছি। এখনও চারটি ম্যাচ আছে। তো আমি ম্যাচ বাই ম্যাচ হিসেব করে এগুতে চাই। প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। সিঙ্গাপুরকে হারানোর পরই বলতে পারব-আমি জিতেছি।”
প্রতিপক্ষ নিয়ে কোচের মতো অত ভাবছেন না ফরোয়ার্ড সানজিদা খাতুন।
“ইরানের বিপক্ষে মোটেও চাপ অনুভব করিনি। ওই ম্যাচে প্রথমার্ধে গোল পায়নি শুধু তাড়াহুড়োর কারণে। তবে আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল। সিঙ্গাপুর ম্যাচেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।”
বাছাইয়ে গ্রুপ-সেরা দল পাবে ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে মূল আসরে খেলার টিকেট। ইরানকে হারিয়ে এই সিঁড়ির একটা ধাপ পেরিয়েছে বাংলাদেশ। কোচের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকারও ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
ইরানের জালে গোল পাওয়া তহুরা খাতুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও একই পারফরম্যান্স করার জন্য প্রত্যয়ী।
“মাঠে নামলে প্রতিপক্ষ কে ভাবি না, শুধু গোল করাই আমার লক্ষ্য। ইরানের বিপক্ষে খেলেছি না কার সঙ্গে খেলেছি সেটা মাথায় ছিল না। এ কারনেই গোল পেয়েছি। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও একই মনোভাব নিয়ে খেলব।”
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র দিয়ে শুরু করা সিঙ্গাপুরের কোচ চেন কাই ইং বাংলাদেশকে কঠিন প্রতিপক্ষ মানছেন।
মার্জিয়া, মারিয়া মান্ডা, কৃষ্ণাদের প্রশংসা করে কাই ইং বলেন, “বাংলাদেশ শক্ত প্রতিপক্ষ। তারা ভালো খেলে। তাদের খেলা দেখেছি। আমরা তাদের বিপক্ষে ডিফেন্সিভ খেলব।”
“মার্জিয়া, মারিয়া, কৃষ্ণা বিপজ্জনক খেলোয়াড়। ওরা যে কোনো সময় ম্যাচের গতি পরিবর্তন করে দিতে পারে। আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলব। ড্র করতে পারলেই আমরা খুশি হব।”