ইরান, তাইপের চ্যাম্পিয়নের লক্ষ্য

ছয় দল নিয়ে শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার গড়াচ্ছে মেয়েদের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব। বাছাই পর্বের গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইরানের লক্ষ্য এবারও সেরা হওয়া। ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য বড় প্রতিপক্ষ চাইনিজ তাইপেও গ্রুপের সেরা হয়ে ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে মূল আসরে যেতে চায়। কিরগিজস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও জানিয়েছে লক্ষ্যের কথা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2016, 01:55 PM
Updated : 26 August 2016, 01:56 PM

আবার সেরার লক্ষ্য ইরানের

চার ম্যাচের সবগুলো জিতে গত বাছাইয়ে সেরা হয়েছিল ইরান। শেষ ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও বাংলাদেশকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল তারা।গতবারের সাফল্যের পুনরাবৃত্তিতে আশাবাদী ইরানের কোচ সাদি মাহিনি।

“আমাদের দলটি অনূর্ধ্ব-১৪ ও ১৬ দলের এর খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া। চ্যাম্পিয়ন হতে আমরা বাংলাদেশে এসেছি। গতবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, এবারও একই লক্ষ্য আমাদের।”

চ্যাম্পিয়ন হতে চায় চাইনিজ তাইপের

গতবারের বাছাই ডি গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া চাইনিজ তাইপে বাংলাদেশ থেকে মূল পর্বে খেলার টিকেট নিয়ে ফিরতে চায়। লম্বা সময় ধরে অনুশীলন করায় লক্ষ্য পূরণে আশাবাদী দলটির সহকারী কোট কাও সাই হু।

“আমরা ছয় মাস ধরে অনুশীলন করছি। বাংলাদেশে আসার আগে আমরা জাপানের দলের ৫ থেকে ৬ টা সঙ্গে কয়েকটা ম্যাচ খেলেছি। আমাদের লক্ষ্য জেতা এবং থাইল্যান্ডে মূল আসরে খেলা।”

কিরগিজস্তানের চোখে সবাই সমান

গতবার বাছাইয়ে ‘এ’ গ্রুপে খেলা কিরগিজস্তান তৃতীয় হয়েছিল। এবার ‘সি’ গ্রুপে খেলবে দলটি। কোচ সভেতলানা পোকাচালোভা জানালেন, তাদের চোখে কোনো দলই সে অর্থে ফেভারিট নয়। ভালোর সুযোগ আছে সব দলের সামনে।

“তিন মাস আগে আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। এখানে এসে দুটি সেশন অনুশীলন করেছি। আমরা খেলা শুরুর জন্য তৈরি হয়ে আছি। তুলনামূলকভাবে আমরা খুব তরুণ দল। এই দলের অধিকাংশই এসেছে অনূর্ধ্ব-১৪ দল থেকে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া এবং নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করা।”

“আমি কোনো প্রতিপক্ষের শক্তির দিক, দুর্বলতার দিক নিয়ে ভাবছি না; সবাই সমান দল এবং সবারই সুযোগ আছে।”

সংযুক্ত আরব আমিরাত ‘এখন অনেক অভিজ্ঞ’

গত বাছাইয়ে তৃতীয় হলেও বাংলাদেশ সম্পর্কে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জানাশোনা কম নয়। গতবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান দলটির কোচ আজম ঘটক।

“এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আমরা বাংলাদেশে এসেছি। আগের দলের অনেকেই এই দলে আছে। ফলে আপনারা দুইবারের খেলায় অনেক পার্থক্য দেখতে পাবেন। শেষ আসরে অনূর্ধ্ব-১৪, ১৫ খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দল এসেছিলাম, তারা এখন অনেক অভিজ্ঞ।”

প্রস্তুতির ঘাটতি আছে বলে জানালেন আমিরাত কোচ।

“আমরা টেকনিক্যালি ভালো কিন্তু অন্য দলগুলোর শারীরিক ফিটনেস আমাদের জন্য সমস্যা হবে। দুই সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা এসেছি। আমরা বাইরে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাইনি। নিজেদের সিনিয়র টিমের সঙ্গে কিছু খেলেছি।”

শেখার লক্ষ্য সিঙ্গাপুরের

ইরান, বাংলাদেশ, চাইনিজ তাইপের মতো বাছাই পর্বের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নেই সিঙ্গাপুরের। দলটির কোচ চেন কাই ইংও শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমাদের দলটা নতুন এবং তরুণ। আমি বিশ্বাস করি এই টুর্নামেন্ট থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারব।

অধিনায়ক মিরা শেরজানও সুর মেলান কোচের কণ্ঠে, “আমরা এখানে অভিজ্ঞতা নিতে এসেছি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”