পারল না শেখ রাসেল

এএফসি কাপের প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারল না শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে এফসি তেরতোন্সের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে মারুফুল হকের দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2016, 03:18 PM
Updated : 25 August 2016, 03:41 PM

ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ‘সি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক দল এফসি তেরতোন্সের কাছে ৪-৩ গোলে হারে শেখ রাসেল।

শুরু থেকে দাপুটে ফুটবল খেলতে থাকে শেখ রাসেল। সপ্তম মিনিটে রুবেল মিয়ার ডান দিক থেকে নেওয়া গতিময় কিক কর্নারের বিনিময়ে ফেরান তেরতোন্সের এক ডিফেন্ডার। দুই মিনিট পর বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে যাওয়া ইকাঙ্গা ডান দিকে ফাঁকায় থাকা রুবেলকে বল বাড়াতে পারলে গোল পেতে পারত শেখ রাসেল।

অষ্টাদশ মিনিটে প্রতিআক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় তেরতোন্স। সতীর্থের লং বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি ফরোয়ার্ড চেনচো গাইয়েলতসেন।

শেখ রাসেল সমতায় ফেরে পরের মিনিটেই। জামাল ভূইয়ার ফ্রি-কিকে ইকাঙ্গার নিখুঁত হেড ঠিকানা খুঁজে পায়। তাতুংয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও হেড থেকে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন ক্যামেরুনের এই ফরোয়ার্ড।

এর পর হঠাৎই ছন্দ হারিয়ে ফেলে শেখ রাসেল। ৩০তম মিনিটে এগিয়ে যায় তেরতোন্স। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে ওয়াংদি মাথা ছোঁয়ানোর পর বক্সের জটলার মধ্যে থেকে ফের হেড করে গোল করেন তেনজিন দর্জি।

পাঁচ মিনিট পর তিসেরিং ওয়াংদির গোল কোণঠাসা করে দেয় শেখ রাসেলকে। গোলটিতে অবশ্য ওয়াংদির চেয়ে গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটনের ভুলটারই বেশি অবদান। তিসেরিং দর্জির দূরপাল্লার শট ফিস্ট না করে গ্লাভসবন্দি করতে যান লিটন; বল হাত গড়িয়ে সামনে থাকা ওয়াংদির পায়ে চলে যায়।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরেকটি গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় শেখ রাসেল। সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে দ্রুত আক্রমণে যাওয়া চেনচো সহজেই পরাস্ত করেন গোলরক্ষককে। ঝাঁপিয়ে পড়া লিটনের হাতের নিচ দিয়ে বল চলে যায় জালে।

চার গোল হজমের পর লিটনকে তুলে নিয়ে জিয়াউর রহমানকে নামান শেখ রাসেল কোচ মারুফুল হক। দ্বিতীয়ার্ধের ত্রয়োদশ মিনিটে পেনাল্টি থেকেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড শাখাওয়াত হোসেন রনি। বক্সের মধ্যে মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে গোলরক্ষক ফাউল করলে পেনাল্টি পায় শেখ রাসেল।

৬৬তম মিনিটে রনির গোলে ব্যবধান কমায় শেখ রাসেল। চার মিনিট পর ইকাঙ্গার গোলে স্কোরলাইন ৪-৩ করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে ২০১২-১৩ মৌসুমে ঘরোয়া ফুটবলে ট্রেবল জেতা দলটি।