‘ব্রাজিলের ফুটবল মরেনি’

দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে অলিম্পিক ফুটবলের প্রথম সোনা জয়ের পর ব্রাজিলের কোচ রজেরিও মিকালে ঘোষণা দিলেন, ‘ব্রাজিলের ফুটবল মরেনি’।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2016, 02:11 PM
Updated : 21 August 2016, 02:12 PM

শনিবার রাতে বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় ১-১ গোলে সমতায় শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে জার্মানিকে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল।

নির্ধারিত সময়ে নেইমারের দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিকে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। পরে জার্মানি গোলটি শোধ করলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও স্কোরলাইন ১-১ থাকার পর ট্রাইব্রেকারের শেষ শটে বল জালে পাঠিয়ে দেশের মানুষকে উল্লাসে ভাসান দলের সেরা তারকা ও অধিনায়ক।

আর এরই সঙ্গে জেতা সম্ভব এমন সব শিরোপাই জিতল ফুটবলের সফলতম দেশটি। বিশ্বকাপ পাঁচবার, ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ চারবার ও কোপা আমেরিকা আটবার জেতা ব্রাজিল ফুটবলের অর্জনের ভাণ্ডারে শনিবারের আগ পর্যন্ত যে ছিল না শুধু এই অলিম্পিক সাফল্য।

অর্জনের ভাণ্ডারের একমাত্র অপূর্ণতা ঘোচানোর জন্যেই শুধু নয়, অবিস্মরণীয় এই সাফল্যে দুই বছর আগের হতাশা ঢাকারও সুযোগ পাচ্ছে ব্রাজিল।

২০১৪ বিশ্বকাপে এই মাঠেই দুই দলের দেখায় ১৮ মিনিটের মধ্যে স্বাগতিকদের জালে পাঁচ বার বল পাঠিয়েছিল জার্মানি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ব্রাজিল হারে ৭-১ গোলে। লজ্জার ওই হারের পর দেশটির ফুটবলে বারবার এসেছে হতাশা। ২০১৫ সালে কোপা আমেরিকায় কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ার গত জুনে প্রতিযোগিতাটির শতবর্ষী আসরের গ্রুপ পর্বই পেরুতে পারেনি তারা।

সাম্প্রতিক ব্যর্থতা, বিশেষ করে ৭-১ এ বিধ্বস্ত হওয়ার সে লজ্জা ঢেকে জাতীয় দলের গৌরব ফিরিয়ে আনতে তার দল অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছে বলে বিশ্বাস অলিম্পিকের দলের দায়িত্বে থাকা মিকালের।

“হ্যা, আমি নিশ্চিত, এটা (সোনা জয়) ব্রাজিলের মানুষদের মধ্যে জাতীয় দলকে নিয়ে গর্ব ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে।”

“দেশের (মানুষের) কাছে ফুটবল কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝেই আমরা জানতাম; অলিম্পিক দলের উপর দায়িত্ব ছিল অনেক।”

“এখন আমরা আরও আত্মবিশ্বাস, আরও বেশি গর্ব নিয়ে সামনে তাকাতে পারি। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল মরেনি। ভবিষ্যতে অসাধারণ কিছু অর্জনের ব্যাপারে আমাদের দারুণ সম্ভাবনা এবং আশা আছে।”