ফুটবল বিশ্বকে চমকে গত মৌসুমের লিগ শিরোপা জয়ের পথে আর্সেনাল ছাড়া বড় সব দলের বিপক্ষেই পয়েন্ট পায় লেস্টার। একমাত্র আর্সেন ভেঙ্গারের শিষ্যদের কাছে ‘হোম ও অ্যাওয়ে’ দুটি ম্যাচেই হেরেছিল তারা।
গানারদের বিপক্ষে এবার পয়েন্টের খরা কাটলেও শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে এমন শুরু নিশ্চয় কাম্য নয় চ্যাম্পিয়নদের। একই হতাশা শিরোপা প্রত্যাশী আর্সেনালেও; দুই ম্যাচ শেষে তাদের অর্জনও যে মাত্র ১ পয়েন্ট।
গত শনিবার আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসা হাল সিটির মাঠে ২-০ গোলে হেরে যায় লেস্টার। আর লিভারপুলের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচে ৪-৩ গোলে হেরে লিগ শুরু করে আর্সেনাল।
শনিবার রাতে চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপদের লড়াইয়ের প্রথমার্ধে খুব বেশি উল্লেখযোগ্য ঘটনার জন্ম হয়নি। বিরতির আগে গোলের নিশ্চিত সুযোগ পায়নি কেউই।
৩২তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো আর্সেনাল। কিন্তু সান্তি কাসোরলার বাঁকানো ফ্রি-কিকে জালে ঢুকতে যাওয়া বল শেষ মুহূর্তে বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক কাসপার স্মাইকেল।
৭০তম মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে বড় সুযোগটি পান গত মৌসুমে লেস্টারের সর্বোচ্চ গোলদাতা জের্মি ভার্ডি। ফাঁকায় বল পেয়ে বিনা বাধায় ডি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন; কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
শেষ ১০ মিনিটে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই জমে উঠলেও স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এই ড্রয়ে ঘরের মাঠে লেস্টার টানা ১৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকল। কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে তাদের শেষ হারটাও এই আর্সেনালের বিপক্ষেই।
দিনের প্রথম ম্যাচে সের্হিও আগুয়েরো ও নোলিতোর জোড়া গোলে স্টোক সিটির মাঠে ৪-১ ব্যবধানে জেতে ম্যানচেস্টার সিটি।
জয়ের ধারা ধরে রেখেছে চেলসিও; দিয়েগো কস্তার শেষ মুহূর্তের গোলে তারা ২-১ গোলে ওয়াটফোর্ডকে হারিয়েছে।
অন্য ম্যাচে নবাগত বার্নলির কাছে ২-০ গোলে হেরেছে লিভারপুল।