বোল্টের ট্রিপল ডাবল

প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাতে নয়, উসাইন বোল্ট দৌড়ালেন নিজেকে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে। জ্যামাইকার এই গতিদানব নিজেরই গড়া বিশ্ব রেকর্ড অবশ্য ভাঙতে পারলেন না। তবে ১০০ মিটারের মতো ২০০ মিটার স্প্রিন্টেও টানা তিন অলিম্পিকে সোনা জিতলেন অনায়াসেই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2016, 01:40 AM
Updated : 19 August 2016, 12:13 PM
রিও অলিম্পিকের ত্রয়োদশ দিনে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটায় সবার আগে দৌড় শেষ করতে বোল্টের সময় লাগে ১৯.৭৮ সেকেন্ড। বার্লিনে ২০০৯ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়শিপে রেকর্ড গড়েছিলেনন ১৯.১৯ সেকেন্ড নিয়ে।

২০০৮ সালে বেইজিংয়ে ২০০ মিটারে সোনা জেতার পর বড় কোনো প্রতিযোগিতায় হারেননি বোল্ট। অলিম্পিকের তিনটি সোনার সঙ্গে তাই আছে চার-চারটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।

১০০ মিটারে সোনা জেতার পর জানিয়েছিলেন, ২০০ মিটারে রেকর্ডটা ভাঙতে চান আবার। তবে নিজের সেরা সময়ে রেকর্ডটাকে এত নীচে নামিয়েছিলেন যে এখনকার বোল্টের পক্ষে সেটা দু:সাধ্য।

একটু আগে বৃষ্টি হওয়ায় ট্র্যাক খানিকটা ভেজা ছিল; এজন্যই হয়তো প্রত্যাশিত গতি তুলতে পারেননি বোল্ট। ৩টি অলিম্পিক ও ৪টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপার মধ্যে রিওর টাইমিংই সবচেয়ে ধীর। কিন্তু তার পরও ফিনিশিং লাইনে বোল্টের ধারে কেউ ছিল না। এমনকি ২০ সেকেন্ডের নীচে শেষ করতে পারেনি কেউ।

১০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জেতা কানাডার অঁদ্রে দে গ্রাস জিতেছেন রুপা। সময় নিয়েছেন ২০.০২ সেকেন্ড। ২০.১২ সেকেন্ড নিয়ে ফটোফিনিশে তৃতীয় হয়েছেন ফ্রান্সের ক্রিস্তোফ লুমেত। যুক্তরাজ্যের অ্যাডাম জেমিলিও একই সময় নিয়েছিলেন।

দৌড় শেষে বরাবরের মতোই চললো স্টেডিয়াম চক্কর। অভিবাদনের জবাব দিলেন বোল্ট নানা অঙ্গভঙ্গি করে। পরে সাংবাদিকদের বললেন, “আমার প্রমাণ করার আর কিছু নেই। আমি যে বিশ্বের সেরা সেটা প্রমাণ করতে আমার আর কি করতে হবে?”

“আমি সেরাদের একজন হতে চেষ্টা করেছি। (মুহাম্মাদ) আলি ও পেলের কাতারে থাকতে চেয়েছি। আমি আশা করছি এই দৌড়গুলোর পর আমি তাদের কাতারে থাকতে পারব।”

এ নিয়ে অলিম্পিকে বোল্টের সোনা হলো ৮টি। দলীয় ইভেন্ট ৪*১০০ মিটার রিলেতে সোনা জিতলেই হয়ে যাবে ‘ট্রিপল ট্রিপল’, যার লক্ষ্য নিয়েই রিওতে এসেছিলেন।

কোনো অঘটন না ঘটলে বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে অবিশ্বাস্য এই কীর্তিরও স্বাক্ষী হবে বিশ্ববাসী।