চতুর্থ সোনায় রেকর্ড ছুঁলেন বাইলস

সঙ্গীতের তালে ফ্লোরে দুর্দান্ত সব কলা-কৌশল দেখালেন সিমোন বাইলস। জিতে নিলেন রিও অলিম্পিকের চতুর্থ সোনার পদকটি। যুক্তরাষ্ট্রের এই তরুণী নাম লেখালেন রেকর্ড পাতায়।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2016, 05:24 AM
Updated : 17 August 2016, 05:24 AM
গেমসের একাদশ দিন মঙ্গলবার মেয়েদের ফ্লোর এক্সারসাইজ ইভেন্টে ১৫.৯৬৬ স্কোর করে চ্যাম্পিয়ন হন ১৯ বছর বয়সী বাইলস।

রিও অলিম্পিকে এর আগে দলীয়, অল-অ্যারাউন্ড ও ভল্টে সেরা হয়েছিলেন বাইলস। ফ্লোরেও সোনা জিতে অলিম্পিকের ইতিহাসে এক আসরে নারী জিমন্যাস্ট হিসেবে সর্বোচ্চ চারটি সোনার পদক জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করলেন তিনি।

এর আগে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন সোভিয়েত ইউনিয়নের লারিসা লাতিনিনা (মেলবোর্ন ১৯৫৬) হাঙ্গেরির আগনেস কেলেতি (মেলবোর্ন ১৯৫৬), চেক রিপাবলিকের ভিয়েরা চালসলাভস্কা (মেক্সিকো ১৯৮৪) ও রোমানিয়ার একাতেরিনা সাবো (লস অ্যাঞ্জেলেন ১৯৮৪)। 

আগের দিন বিমে পিছলে পড়ে সোনা জিততে পারলে ইতিহাসে প্রথম জিমন্যাস্ট হিসেবে এক আসরে ৫টি সোনা জেতার রেকর্ড করতে বাইলস।

বাইলসের স্বদেশি অ্যালেক্জ্যান্ড্রা রেইজম্যান ১৫.৫০০ স্কোর করে রুপা জেতেন। ব্রিটেনের অ্যামি টিংকলার ১৪.৯৩৩ স্কোর করে জেতেন ব্রোঞ্জ।

প্যারালাল বারে চ্যাম্পিয়ন ভারনিয়াভ

ছেলেদের অল অ্যারাউন্ড ইভেন্টে সোনার সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত রুপাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ওলেগ ভারনিয়াভকে। তবে প্যারালাল বারে আর ব্যর্থ হননি; সোনার পদক গলায় ঝুলিয়েছেন ইউক্রেনের এই জিমন্যাস্ট।

মঙ্গলবার সোনা জিততে ১৬.০৪১ স্কোর করেন ভারনিয়াভ।

০.১৪১ পয়েন্ট কম স্কোর করে রুপা জেতেন যুক্তরাষ্ট্রের ড্যানেল লেইভা। রাশিয়ার দভিদ বেলিয়াভস্কি পেয়েছেন ব্রোঞ্জ।

হরিজন্টাল বারে সেরা হামবুশেন

হরিজন্টাল বারে শ্বাসরুদ্ধকর কৌশল দেখিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের পেছনে ফেলে সোনা জিতেছেন জার্মানির ফাবিয়ান হামবুশেন।

চতুর্থ অলিম্পিকে এসে অবশেষে সোনার পদক জিতলেন ২৮ বছর বয়সী এই জিমন্যাস্ট। ১৫.৭৬৬ স্কোর করে প্রথম হন তিনি।

প্যারালাল বারে রুপা জেতা ড্যানেল লেইভা এই ইভেন্টেও দ্বিতীয় হন। ব্রিটেনের নাইল উইলসন জেতেন ব্রোঞ্জ।