ফিনিশিং লাইনে ডাইভ দিয়ে সোনা মিলারের!

বেইজিংয়ে গত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অ্যালিসন ফেলিক্সের সামান্য পেছনে থেকে দ্বিতীয় হয়েছিলেন শনে মিলার। ঘটনাটা থেকে তবে ভালোই শিক্ষা নিয়েছেন তিনি। রিওতে ৪০০ মিটারের ফাইনালেও একই ফল হতে যাচ্ছে দেখে ফিনিশিং লাইনে দিলেন ডাইভ। আর তাতেই সোনা ছিনিয়ে নিলেন বাহামাসের এই স্পিন্টার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2016, 05:13 AM
Updated : 16 August 2016, 11:38 AM
রিও গেমসের দশম দিনে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালে রোমাঞ্চকর এই লড়াইয়ে ২২ বছর বয়সী মিলার সময় নেন ৪৯.৪৪ সেকেন্ড। বড় কোনো আসরে এটাই তার প্রথম সোনা।

মিলার জানান, একটাই ভাবনা তার মনে খেলছিল। তা হলো, যেভাবেই হোক সোনা জিততে হবে। ফিনিশিং লাইনে এসে জয়ের তাড়নাতেই ডাইভটা চলে এসেছিল।

শরীরে ব্যথা নিয়েই এর পর সোনা জয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন মিলার।

“এই মুহূর্তটার জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। আমি অনেক খুশি, অনেক কৃতজ্ঞ।”

চারটি অলিম্পিক সোনার মালিক ফেলিক্সের সময় লাগে ৪৯.৫১ সেকেন্ড। হতাশায় ভেঙে পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট।

যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক ট্রায়ালে সেরা তিনের মধ্যে থাকতে না পারায় লন্ডনে জেতা ২০০ মিটার দৌড়ের খেতাব ধরে রাখার সুযোগ রিওতে পাচ্ছেন না ফেলিক্স। ৪০০ মিটারে প্রথম সোনা একটুর জন্য ফসকে গেল এই ইভেন্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের।

তবে রুপা জিতে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে যুক্তরাষ্টের সবচেয়ে বেশি পদক পাওয়া নারী অ্যাথলেট হয়ে গেছেন ফেলিক্স।

লন্ডনে ২০০ মিটারে সোনা ছাড়াও জিতেছিলেন ৪*১০০ ও ৪*৪০০ মিটার রিলের সোনা। বেইজিংয়ে ৪*৪০০ মিটার রিলের সোনার পাশাপাশি ২০০ মিটারে রুপা। আর সেই ২০০৪ সালে এথেন্সে ২০০ মিটারে রুপা। সব মিলিয়ে ৭টি পদক হলো ফেলিক্সের।

জ্যামাইকার শেরিকা জ্যাকসন ৪৯.৮৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন।