স্কুলিংয়ের সাফল্যের প্রেরণা ফেলপস

যাকে পেছনে ফেলে রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকে ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ের সোনা জিতেছেন, সেই মাইকেল ফেলপসই জোসেফ স্কুলিংয়ের আদর্শ। এই সাফল্যের পেছনে সাঁতারের জীবন্ত কিংবদন্তি অনুপ্রেরণা ছিলেন বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের এই তরুণ সাঁতারু।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2016, 07:33 PM
Updated : 16 Oct 2016, 11:17 AM

রিও গেমসের সপ্তম দিনে ফেলপসেরই অলিম্পিক রেকর্ড ভেঙে ৫০.৩৯ সেকেন্ডের নতুন রেকর্ড গড়েন ২১ বছর বয়সী স্কুলিং। ৫১.১৪ সময় নিয়ে তিন জন পান রুপা! স্কুলিংয়ের পাশে পোডিয়ামের একই ধাপে তাই দাঁড়ান খ্যাতনামা তিন সাঁতারু ফেলপস, দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যাড লে ক্লজ ও হাঙ্গেরির লাজলো চেহ।

ফেলপস, ক্লজ আর লাজলোকে এক সঙ্গে পেছনে ফেলে সোনা জেতায় নিজেই যেন বিস্মিত হয়েছেন স্কুলিং। সাঁতার শেষ হওয়ার পরও তার ঘোর যেন কাটছিলই না। সংবাদ সম্মেলনেও এসে সেই কথা বললেন ২১ বছর বয়সী স্কুলিং।

স্কুলিং বলেন, “আমি জিততে চেয়েছিলাম। আর আমি মনে করি, এর অনেকটাই মাইকেলের জন্য, তার কারণেই আমি ভালো সাঁতারু হতে চেয়েছিলাম।”

২০০৮ সালে ফেলপস সিঙ্গাপুরে অনুশীলন করার সময় স্কুলিংয়ের বয়স ছিল ১৩ বছর। নিজের আদর্শকে কাছে পেয়ে সেই সময় এক সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন স্কুলিং।

পুরস্কার বিতরণী শেষে ফেলপসের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে কথা বলেন স্কুলিং। নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে সেই সময় ফেলপসকে তিনি বলেছিলেন, ‘অসাধারণ’ লাগছে।

পুরস্কার বিতরণীর পর সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ফেলপস সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন সোনা জয়ী স্কুলিংকে বেশি গুরুত্ব দিতে।

“বেশিরভাগ প্রশ্ন জোর (স্কুলিং) পাওয়া উচিৎ। ছেলেটা একটি সোনার পদক জিতেছে। তাকে বেশি প্রশ্ন করা যাক।”

তবে বাস্তবতা ছিল, স্কুলিং নিজেও যেন নিজেকে গুরুত্ব দিতে পারছিলেন না। এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা বাটারফ্লাইয়ার হয়ে কেমন লাগছে-এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের পর স্কুলিং ফেলপসের দিকে তাকান। ফেলপস তাকে উদ্দেশ করে বলেন, “এটা তোমার জন্য ভাই, আমার দিকে তাকিও না।”