রিও গেমসের সপ্তম দিনে ফেলপসেরই অলিম্পিক রেকর্ড ভেঙে ৫০.৩৯ সেকেন্ডের নতুন রেকর্ড গড়েন ২১ বছর বয়সী স্কুলিং। শুরুতে খানিকটা পিছিয়ে যাওয়া ফেলপস শেষের দিকে ব্যবধান কমিয়ে আনেন। ৫১.১৪ সময় নিয়ে তিন জন পান রুপা! পোডিয়ামের একই ধাপে তাই তিন বিখ্যাত প্রতিদ্বন্দ্বী - ফেলপস, দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যাড লে ক্লজ ও হাঙ্গেরির লাজলো চেহ।
ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর অলিম্পিক ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সোনার পদক জিতল। পুরস্কার হিসেবে স্কুলিং পাবেন ১০ লাখ সিঙ্গাপুর ডলার।
আগের দিন রেকর্ড গড়ে ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে সোনা জিতে চার আসরে কোনো ব্যক্তিগত ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য নজির গড়েছিলেন ফেলপস। অলিম্পিক ইতিহাসে আর কোনো সাঁতারু কোনো ব্যক্তিগত ইভেন্টে টানা চারটি সোনা জিততে পারেনি। ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক জিতলেও আরেকটি ব্যক্তিগত ইভেন্টে টানা চার হতো তার।
৩১ বছর বয়সী ফেলপসের রিও অলিম্পিকে দুটি ব্যক্তিগত ও দুটি দলীয় সোনা জেতা হয়েছে। লন্ডনে গত অলিম্পিকেও চারটি সোনার পদক গলায় ঝুলিয়েছিলেন তিনি। এর আগে ২০০৪ সালে এথেন্সে ৬টি আর বেইজিংয়ে আটটি সোনা জেতেন সর্বকালের সেরা এই অলিম্পিয়ান।
অলিম্পিকের সব ক্রীড়া মিলিয়ে ব্যক্তিগত কোনো ইভেন্টে টানা চারটি সোনা আছে আর দুই জনের। দুইজনই ফেলপসের স্বদেশি। লং জাম্পে কার্ল লুইস আর ডিসকাস থ্রোতে অ্যাল অর্টার।
রিও অলিম্পিকে নিজের প্রথম সোনা ফেলপস পেয়েছিলেন গেমসের দ্বিতীয় দিনে সতীর্থদের সঙ্গে ৪*১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলেতে। এতে প্রথম সাঁতারু হিসেবে অলিম্পিকের চারটি আসরে সোনা জেতা হয়ে যায় তার।
তবে ওই রেকর্ডটি ছিল দলীয়। ষষ্ঠ দিন ২০০ ব্যক্তিগত মিডলেতে সেরা হয়ে ব্যক্তিগত কোনো ইভেন্টে চারটি সোনা জেতা প্রথম সাঁতারু হন ফেলপস। ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে দ্বিতীয়বার এই দৃষ্টান্ত দেখাতে না পারলেও তার কৃতিত্ব এতটুকুও ম্লান হচ্ছে না।
অবসর ভেঙে পঞ্চম অলিম্পিকে এসেছেন এই জলদানব। ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে এসে ৩১ বছর বয়সী ফেলপসের ঝুলিতে এখন অলিম্পিকের ২২টি সোনা, ৩টি রুপা ও ২টি ব্রোঞ্জ নিয়ে মোট ২৭টি পদক!
সব পদক মেলালে ১৮টি পদক নিয়ে ফেলপসের পরে আছেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের জিমন্যাস্ট লারিসা লাতিনিনা। আর সোনার পদকের হিসেবে তো তার ধারেকাছেই কেউ নেই। ৯টি করে সোনা লাতিনিনা, ফিনল্যান্ডের দূরপাল্লার দৌড়বিদ পাভো নুরমি, যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারু মার্ক স্পিত্স ও স্প্রিন্টার কার্ল লুইসের।