সিডনিতে ২০০০ সালে ক্যারিয়ারে প্রথমবার অলিম্পিকে অংশ নিতে গিয়ে সুইমিংপুলে প্রথম নেমেছিলেন ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে। সেবার খালি হাতে ফিরলেও ২০০৪ সালে এথেন্সে আর ২০০৮ সালে বেইজিংয়ে এই ইভেন্টে সোনা জেতেন ফেলপস। কিন্তু লন্ডনে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যাড লে ক্লজের কাছে অল্পের জন্য পদকটি হারান এই মার্কিন তারকা। এবার বেশ পেছনে থেকে লে ক্লজ হন চতুর্থ।
অলিম্পিকে রেকর্ড ২১টি সোনা জেতা ফেলপস চার বছর আগের ওই হারের প্রতিশোধ নিতে পেরে দারুণ খুশি।
“মিশন সম্পন্ন, সত্যি আমি এটা ফিরে পেতে চেয়েছিলাম।”
“আমি কাউকে কিছু বলিনি, কিন্তু আমার হারার কোনো উপায় ছিল না।”
গত দুটি অলিম্পিকে পুলে একের পর এক ঝড় তোলা ফেলপস ২০১৪ সালে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে রিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার জন্য অবসর ভেঙে পুলে ফেরেন তিনি। রিওতে এখন পর্যন্ত তিনটি সোনা জিতেছেন ৩১ বছর বয়সী এই জলদানব।
ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে এসে ফেলপসের ঝুলিতে এখন অলিম্পিকের ২১টি সোনা, ২টি রুপা ও ২টি ব্রোঞ্জ নিয়ে মোট ২৫টি পদক!
সব পদক মেলালে ১৮টি পদক নিয়ে ফেলপসের পরে আছেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের জিমন্যাস্ট লারিসা লাতিনিনা। আর সোনার পদকের হিসেবে তো তার ধারেকাছেই কেউ নেই। ৯টি করে সোনা লাতিনিনা, ফিনল্যান্ডের দূরপাল্লার দৌড়বিদ পাভো নুরমি, যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারু মার্ক স্পিত্স, ও স্প্রিন্টার কার্ল লুইসের।