২০০৬ ও ২০১০ সালে রানার্সআপ হওয়াই এত দিন ছিল লিগে মেরিনারের সেরা সাফল্য। অন্যদিকে ২০০৪, ২০০৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে লিগ শিরোপা জেতা ঊষা শুক্রবার মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে নামে পঞ্চম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে।
সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে জিততে হতো ৩৮ পয়েন্ট পাওয়া ঊষাকে। অন্যদিকে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা মেরিনারের শিরোপা উৎসবে ভাসতে ড্র ছিল যথেষ্ট।
শুরুর দুই মিনিটেই দুটি সহজ সুযোগ হেলায় হারান ঊষার হাসান যুবায়ের নিলয়। ডান দিক থেকে সারোয়ার হোসেনের বাড়ানো বল গোলমুখে পেয়ে ঠিকঠাক হিট করতে পারেননি তিনি। একটু পর পুরস্কর ক্ষীসা মিমোর তৈরি করা সুযোগ দুর্বল হিটে নষ্ট করেন জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড।
ত্রয়োদশ মিনিটে নিলয়ের হাত ধরেই এগিয়ে যায় ঊষা। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের হিট বিপদমুক্ত করতে পারেননি মেরিনারের ডিফেন্ডার আশরাফুল, হিটে লক্ষ্যভেদ করেন নিলয়। দুই মিনিট পর নিলয়ের বাড়ানো বলে মিমোর রিভার্স হিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় ঊষা।
২০তম মিনিটে মেরিনারের পাকিস্তানি খেলোয়াড় মোহাম্মদ তৌফিক আম্পায়ারের সঙ্গে বাদানুবাদের জড়ালে সবুজ কার্ড দেখিয়ে তাকে মাঠ থেকে বের করে দেন ওমানি আম্পায়ার। সাথে সাথে ফুসে ওঠে মেরিনার সমর্থকরা। গ্যালারির চেয়ার ভেঙে তারা মাঠে ছুঁড়ে। ডিআইপি বক্সে গিয়েও ভাঙচুর চালায় তারা। পুরো ঘটনা সামনে ঘটলেও পুলিশ থাকে দর্শক হিসেবে।
প্রায় কুড়ি মিনিট পর টার্ফে ফেরে খেলা। মেরিনার ম্যাচে ফেরে ওয়াকাস শরিফের ২৬তম মিনিটের গোলে। ডান দিক থেকে আরশাদ হোসেনের রিভার্স হিট ওপর থেকে নামিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন পাকিস্তানের এই খেলোয়াড়।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ইশতিয়াক আহমেদ গোলের পর বল ওয়াকাসের পায়ে লেগেছিল বলে দাবি করে রিভিউ চায় ঊষা। রিভিউয়ে তাদের দাবি সত্যি হলে গোল বাতিল করেন আম্পায়ার।
দুটি পেনাল্টি কর্নার নষ্ট করার পর ৫০তম মিনিটে সমতায় ফেরে মেরিনার। ইশতিয়াকের বাড়িয়ে দেওয়া বলে লক্ষ্যভেদ করেন আরশাদ হোসেন।
শেষ দিকে ঊষার রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে মেরিনার। টমাসের হিট গোলরক্ষক আবু সাইদ নিপ্পন ফেরান। শেষের বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে ইশতিয়াকের গোলে ৩০তম আসরে এসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে তারা।
১৯৯৭ সাল পর্যন্ত লিগের নাম ছিল প্রথম বিভাগ, সে হিসেবে প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের এটি একাদশ আসর।