হার-জিত মুখ্য নয়, নেপালের বিপক্ষের প্রীতি ম্যাচে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি পরখ করে নেওয়াটাই লক্ষ্য বাংলাদেশের। স্বাগতিক দলের কোচ মারুফুল ইসলাম অবশ্য আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে জানিয়েছেন, ভালো করবে তার শিষ্যরা।
Published : 16 Dec 2015, 05:13 PM
আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভারতের কেরালায় শুরু হবে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের একাদশ আসর। এ আসরের প্রস্তুতি হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকাল পাঁচটায় প্রীতি ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে মামুনুলরা।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে আসা হয়নি স্বাগতিক কোচ মারুফুল হকের। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে অডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নেপাল ম্যাচ নিয়ে কথা বলেন কোচ।
“বিকেএসপিতে আমরা অনুশীলন করছি (গত ২৮ নভেম্বর থেকে)। ট্রেনিংয়ে এতদিন আমরা কি করলাম, নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাই মূল লক্ষ্য।”
কয়েকজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়কে না পেলেও নেপাল ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী মারুফুল, “জয়-পরাজয় মূখ্য নয়। তবে আত্মবিশ্বাস আছে, ছেলেরা ভালো করবে।”
জয়ের ঘোষণা দেননি নেপাল কোচ প্যাট্রিক অসেমসও। এ বছরই নেপাল দলের দায়িত্ব নেওয়া বেলজিয়ামের এই কোচ বলেন, “মাত্র চার দিন আগে বাংলাদেশে আসার কথা জেনেছি আমরা। প্রতিপক্ষের খেলা নিয়ে খুব বেশি কাজ করা হয়নি। তাই হার-জিত নিয়ে ভাবছি না। ছেলেরা কেমন করে, সেটা দেখার অপেক্ষাতেই আছি আমি।”
গত বছর অগাস্টে নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে এশিয়ান গেমসের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। আর্মি স্টেডিয়ামের প্রথম ম্যাচে সোহেল রানার একমাত্র গোলে নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে একই ব্যবধানে হেরেছিল মামুনুলরা।
ফিফা স্বীকৃত ম্যাচের পরিসংখ্যানে নেপালের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। আগের ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ১১টি, নেপালের জয় ছয়টি; বাকি দুই ম্যাচ হয়েছে ড্র।
নেপালের বিপক্ষে খেলা সর্বশেষ চার ম্যাচের পরিসংখ্যান অবশ্য খুব বেশি মামুনুলদের পক্ষে নেই। ২০১১ সালে ১-০ গোলের হার, ২০১২-তে ১-১ ড্রয়ের পর ২০১৩ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাছাইয়ে নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই বছরই সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের মাঠ দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়ে শোধ নেয় নেপাল।
২০০৩ সালে সর্বশেষ শিরোপা জেতা বাংলাদেশ এবারের আসরে মুকুট পুনরুদ্ধারের মিশনে নামবে। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে প্রতিযোগিতাটির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ভুটান।