কলকাতা মোহামেডানকে হারিয়ে সেমিতে ঢাকা মোহামেডান

গ্রুপ পর্বের দুই মোহামেডানের লড়াইটা ছিল ঐতিহ্যের; শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের সেমি-ফাইনালের টিকেট জেতারও। দুই বাংলার দুই ঐতিহ্যবাহী দলের ফুটবল দ্বৈরথে জিতেছে ঢাকা মোহামেডান।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়ের চট্টগ্রাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2015, 03:55 PM
Updated : 25 Oct 2015, 03:55 PM

চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে রোববার কলকাতা মোহামেডানের বিপক্ষে ঢাকা মোহামেডানের জয়টি ২-১ গোলের। টানা দ্বিতীয় জয়ের সুবাদে পাওয়া ছয় পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হিসেবে সেমি-ফাইনালে উঠেছে জসিমউদ্দিন জোসির দল।

তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেরা চারে ঠাঁই করে নিয়েছে দিনের প্রথম ম্যাচে সলিড এসসিকে হারানো স্পিন ঘর বাজান।

আগামী বুধবার ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ইস্ট বেঙ্গলের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে ঢাকা মোহামেডান।

মোবারক হোসেন, জুয়েল রানা ও সোহেলে রানা-চোটের কারণে নির্ভরযোগ্য এই তিন খেলোয়াড়কে না পাওয়ায় ঢাকা মোহামেডানের আক্রমণের ধার কিছুটা কম ছিল। তাছাড়া তৃতীয় ম্যাচে ড্র করলেই সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত ছিল বলেও শুরু থেকে একটু সাবধানী ছিল জোসির দল। 

সাবধানী শুরু করলেও দশম মিনিটে প্রথম আক্রমণটি করে ঢাকা মোহামেডানই। কলকাতা মোহামেডানের ডিফেন্ডার ওমোলাজা নুরাইনের ভুলে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান ঢাকা মোহামেডানের পিটার আকিনেলে; কিন্তু নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ডের শট পোস্টে লেগে ফেরে।

অষ্টাদশ মিনিটে পিটারের দারুণ এক হেডে এগিয়ে যায় ঢাকা মোহামেডান। ফয়সাল মাহমুদের কর্নার থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ফরাশগঞ্জ থেকে ঢাকা মোহামেডানে ধারে খেলতে আসা এই ফরোয়ার্ড।

৪৩তম মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকে একা পেয়েও ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ব্যর্থ হন ঢাকা মোহামেডানের পিটার।

পরের মিনিটেই মিন্টু শেখের হাস্যকর ভুলে সমতায় ফেরে কলকাতা মোহামেডান। বক্সের মধ্যে অকারণেই বল পায়ে ধরে রাখেন মিন্টু কিন্তু তড়িৎ ছুটে আসা কলকাতা মোহামেডানের কাজেম আমোবি বোলানলেকে কাটাতে পারেননি এই ডিফেন্ডার। তার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন বোলানলে।

দ্বিতীয়ার্ধে অতিরক্ষণাত্মক খেলতে থাকে ঢাকা মোহামেডান। ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবনের জায়গায় মিডফিল্ডার কামরান আজিজ; মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জায়গায় হাবিবুর রহমান সোহাগকে নামান কোচ জসিমউদ্দিন জোসি।

৭৯তম মিনিটে ফের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারায় ঢাকা মোহামেডান। পিটারের ক্রসে মাশুক মিয়া জনি পা ছোঁয়ালেও শেষ মুহূর্তে কলকাতা মোহামেডান গোলরক্ষক কামরান ফারুক রুখে দেন।

যোগ করা সময়ে গোলরক্ষকের ভুলেই ভারতের ঘরোয়া লিগের দ্বিতীয় স্তরে খেলা দলটির জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। সতীর্থ এক ডিফেন্ডারের ব্যাক পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফিরতি পাস দিতে চেয়েছিলেন ফারুক কিন্তু সামনে পিটার বল কেড়ে নিয়ে স্কোরলাইন ২-১ করে দেন। ম্যাচের বাকিটা সময় এই স্কোরলাইন ধরে রাখতে সমস্যা হয়নি জোসির দলের।