তিনি বলেছেন, “দেশে যে নির্বাচন হচ্ছে সেটি দলীয় সরকার না, ইসির অধীনে হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই বলছেন, এমনকি ইসি কর্মকর্তাদেরও অনেকে বলছেন, নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হচ্ছে।”
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনের দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের একথা বলেন আজাদ।
তিনি বলেন, “আমরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি, কর্মী সমর্থক ও ভোটাররাও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছে। এর কারণ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হচ্ছে, ইসির অধীনে নয়। নির্বাচন কমিশনকে আমরা যেভাবে দেখতে চেয়েছিলাম সেভাবে দেখছি না। ইসি প্রভাবিত, রুলিং পার্টির মাধ্যমে ইসি প্রভাবিত।
“আমাদের বিএনএফের ৫৫ প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই নির্যাতিত, নিগৃহীত হয়েছে, লাঞ্ছিত হয়েছে। গতকালও টাঙ্গাইলে মারধর করা হয়েছে, গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। কর্মীদের হাসপাতালে আহতাবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হচ্ছেন আমারে দলীয় প্রার্থী ও সমর্থকরা।”
এসব বিষয় কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের ইঙ্গিত বহন করে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজাদ বলেন, “আমার ও আমার দলের প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা চেয়েছি। আমরা চাই, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হোক। এই মুহুর্তে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন তারাও থাকুক। আমরাও নির্বাচনে শেষ দিন পর্যন্ত থাকতে চাই। তবে নির্বাচন হতে হবে ইসির অধীনে।”