কুমিল্লা: বিএনপির দুর্গে ‘গুছিয়ে এনেছেন’ নৌকার সেলিমা

বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কুমিল্লা-১ ও ২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ওই দুই আসনের একটিতে এবার চমক হিসেবে নৌকার প্রার্থী হওয়া সেলিমা আহমাদ ইতোমধ্যে দ্বন্দ্ব ঘুচিয়ে মহাজোট নেতাকর্মীদের এক জায়গায় এনেছেন।

তাবারুল হক কুমিল্লা থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Dec 2018, 01:38 PM
Updated : 26 Dec 2018, 04:34 PM

সেলিমা নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান, এই শিল্প গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদের স্ত্রী তিনি। সেলিমা আহমাদ বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। তিনি বর্তমানে রাষ্ট্রয়াত্ত্ব জনতা ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নারী উদ্যোক্তা সেলিমা আহমাদের বাবার বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়, তিনি উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। জাতীয় নির্বাচনে তাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন অনেকটা ‘বিস্ময়’ হিসেবেই এসেছিল স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে।

তার মনোনয়নে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়া হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মজিদ। তিনি ছাড়া সেলিমার ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা আমির হোসেন ভূইয়া।

বিএনপিবিহীন ২০১৪ সালের নির্বাচনে হোমনা ও তিতাস উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লার এই আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আমির।

এবার মহাজোটের মনোনয়ন না পেয়ে দলীয় প্রতীক লাঙ্গলের প্রার্থী হয়ে কিছুদিন প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন তিনি। তবে সোমবার এক সভায় নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সেলিমা আহমাদকে সমর্থন জানান তিনি।

কুমিল্লা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে আছেন নারী উদ্যোক্তা সেলিমা আহমাদ

একই সভায় নৌকাকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ।

কুমিল্লা-২ আসনে ১৯৭৩ সালের নির্বাচন ছাড়া আর কোনো নির্বাচনে নৌকা মার্কা জয়লাভ করতে পারেনি। বিএনপির প্রয়াত নেতা এম কে আনোয়ার এখানে চারবার নির্বাচন করে সবগুলোতে জয়লাভ করেন।

পাশের দাউদকান্দি ও মেঘনা উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-১ আসনেও একই অবস্থা নৌকার। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে খন্দকার মোশতাক আহমদ নৌকা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন, এরপর দীর্ঘ বছর আসনটি বিএনপি-স্বতন্ত্রের হাতে থাকার পর ২০০৮ সালের আওয়ামী লীগ পুনরুদ্ধার করে।

কুমিল্লা-১ আসনে টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এবারও তিনি সেখানে ধানের শীষের প্রার্থী।  পাশাপাশি এম কে আনোয়ারের মৃত্যুর কারণে এবার কুমিল্লা-২ আসনও সাবেক মন্ত্রী মোশাররফের হাতে তুলে দিয়েছে বিএনপি।

সম্প্রতি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা- আইএসআই’র একজন এজেন্টের সাথে খন্দকার মোশাররফের কথিত ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর তা নিয়ে সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়।

কুমিল্লা-২ আসনে এবার প্রথম ভোট করা খন্দকার মোশাররফ প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নতুন মুখ পেলেও নিজের আসন কুমিল্লা-১ এ তার প্রতিপক্ষ পুরনো।

কুমিল্লা-১ আসনে গত দুইবারের সাংসদ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সুবিদ আলী ভূঁইয়াকেই এবারও প্রার্থী রেখেছে আওয়ামী লীগ।

দুই আসনেই বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এক হয়ে ধানের শীষকে জয়ী করতে ‘উঠেপড়ে লেগেছেন’ বলে স্থানীয়দের অনেকে জানিয়েছেন।

দাউদকান্দি উপজেলা যুব দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “ভোটের দিন যদি কোনো বাধা না দেওয়া হয় তাহলে জয়ের ব্যাপারে আমরা আমাদের প্রার্থীকে নিয়ে শতভাগ আশাবাদী।”

তার মতো আশাবাদের কথা শুনিয়েছেন নৌকা প্রার্থী সেলিমা আহমাদের সমর্থকরাও। তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী বলছেন, হোমনা-তিতাসে আওয়ামী লীগের মধ্যে এখন আর ‘কোনো দ্বন্দ্ব নেই’। দলের সিদ্ধান্তে সবাই নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য মাঠে আছেন।

তিনি বলেন, “আমাদের আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী এক হয়ে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করছে। লাঙ্গলের প্রার্থী আমির হোসেন ভূইয়া এবং হোমনার আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ সাহেব, ‍দুইজনই নৌকার প্রার্থী সেলিমাকে সমর্থন দিয়েছেন। এখন আর কোনো বাধা আমাদের সামনে নেই।”

ধানের শীষের প্রার্থী খন্দকার মোশাররফকে কুমিল্লা-২ আসনে ‘বহিরাগত প্রার্থী’  আখ্যায়িত করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “হোমনা-তিতাসে এখন স্লোগান উঠেছে- ‘বহিরাগতদের স্থান নাই, নৌকা মার্কার জয় চাই’।

সেলিমা আহমাদ দলীয় ও জোটগত দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারলেও তা ভোটে কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভোটার বলেন, “উনার বাবার বাড়ি হোমনা, আর স্বামীর বাড়ি চাঁদপুর। তার বাবা ছিলেন ব্যাংকার, রাজনীতিতে তো কখনো ছিলেন না। আবার শুনছি, আওয়ামী লীগের মধ্যে ভেতরে ভেতরে দ্বন্দ্ব আছে।”

এই আসনে ধানের শীষের প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিতাস উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন সরকার।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা এসব করছে, আমাদের সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।”

এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

কুমিল্লা-২ আসনে আওয়ামী লীগ ও তাদের জোট শরিক জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে নির্বাচনী ঐক্যের ঘোষণা এলেও কুমিল্লা-১ এ চিত্রটা কিছুটা ভিন্ন। সেখানে আওয়ামী লীগ থেকে অন্যান্য যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ভোটের মাঠে তাদের বিভক্তি কাজ করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

কুমিল্লা-১ আসনে এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন দলের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুস সবুর, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আউয়াল সরকার, নাঈম হাসানসহ ২০ জন।

বর্তমান সংসদ সদস্য সুবিদ আলীকে দল বেছে নেওয়ায় মনোনয়ন বঞ্চিতদের প্রধান প্রধান কয়েকজনকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় তেমন দেখা যাচ্ছে না বলে স্থানীয় ভোটাররা জানিয়েছেন।

দাউদকান্দি বাজারের পাশের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আওয়ামী লীগের কোনো সমাবেশ বা গণসংযোগে দলের সব পর্যায়ের নেতারা তো সব সময় আসছে না। একজন আসছে আরেকজন আসেন না, এমন। কাউকে বার বার ফোন করেও বের করা যায় না।”

তবে নৌকা নিয়ে মাঠে কোনো ‘দ্বন্দ্ব নেই’ বলে দাবি করেছেন দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব লিল মিয়া।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা সবাই নৌকার পক্ষে মানুষের কাছে ভোট চাইছি। আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নেই। আমরা যেখানেই যাই নৌকার পক্ষে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাই। এই সরকারের উন্নয়ন মানুষ পেয়েছে, তাই ভোট এবার নৌকার পক্ষেই আসবে।”

ভোটার দলীয় সমর্থকদের ভাষ্য

দাউদকান্দি, মেঘনা, হোমনা, তিতাস ‘বিএনপির ঘাঁটি’ হিসেবে মন্তব্য করে গৌরিপুর এলাকার বিএনপি সমর্থক আরিফুর রহমান বলেন, “যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে এই দুটি আসনে আবারো বিএনপি জিতবে।”

তবে তার উল্টো বক্তব্য পাওয়া গেছে দাউদকান্দির আওয়ামী লীগ সমর্থক আবুল কালাম আজাদের কথায়।

ফল বিক্রেতা আজাদ বলেন, “গত ১০ বছরে দাউদকান্দি, তিতাস, মেঘনা ও হোমনাকে শহর বানিয়ে দিয়েছে এই সরকার। দাউদকান্দিতে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছে। তিতাস-হোমনার মানুষের যাতায়াতে তিনটি ব্রিজ করে দিয়েছে এই সরকার। তাই এবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসা উচিত, আসবে।”

তবে আসন্ন নির্বাচন সংঘাতহীন শান্তিপূর্ণভাবে যাতে হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন তারা দুইজনই।

তিতাসের ভোটার মো. আলম বলেন, “কে জিতবে না জিতবে সেটা বলছি না, গত ১০ বছর অত্র এলাকায় অনেক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। তিনটা ব্রিজের অভাবে মানুষ আগে বিশ্ব রোডে (ঢাকা-চট্টগ্রাম) যেতে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। ব্রিজগুলো হওয়াতে এখন মুহূর্তের মধ্যে বিশ্ব রোডে যাওয়া যায়।”

এবার নির্বাচনে ভোটারদের এসব মনে রেখে তাদের ভোট দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

আরেক ভোটার এম এ সালাম মিয়াজী বলেন, “এই এলাকার রাস্তা-ঘাট খুব খারাপ ছিল, হোমনা থেকে যাতায়াত করা অনেক কঠিন ব্যাপার ছিল। এখন রাস্তা হওয়াতে মানুষের অনেক সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে। আশপাশের বহু গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না, সবাই এখন বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে। তারপরও কিছু মানুষের মনে ধানের শীষ।”

দাউদকান্দির রিকশাচালক মো. সুজন বলেন, “মানুষ ওপরে ওপরে বলে নৌকা, আসলে ভেতরে ভেতরে ধানের শীষ বেশি। সঠিক ভোট হলে ধানের শীষ পাস করতে পারে।”

চা বিক্রেতা নূর আলম বলেন, “সব জায়গাতেই নৌকা, নৌকা ছাড়া অন্য কোনো দলের জায়গা নেই। এবারও নৌকাই পাস করবে।”

প্রচারে সমানে সমান

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ভেতরের রাজনৈতিক অবস্থা যা-ই থাকুক না কেন নির্বাচনী প্রচারণায় যেন রীতিমত প্রতিযোগিতায় নেমেছেন তারা।

কুমিল্লার এই দুই নির্বাচনী এলাকায় যেখানে নৌকার পোস্টার-ব্যানার চোখে পড়েছে, পাশাপাশি ধানের শীষের পোস্টার-প্রচারণা দেখা গেছে। দুই দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনী এলাকায় মাইকিং করে প্রচার চালাতে দেখা যায়।

প্রতিটি রাস্তা ও অলিগলির প্রবেশপথ এবং বাজারে বাজারে নৌকা ও ধানের শীষের প্রচারণায় মুখর হয়ে আছে।

দাউদকান্দি বাজারের কয়েক গজের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাযালয়। এই দুই দলের রাজনৈতিক কাযালয়ের পাশেই দাউদকান্দি থানা কাযালয়েও অবস্থান। বাজারের মধ্যে উভয় দলের শত শত পোস্টার ও ব্যানার ঝুলে থাকতে দেখা যায়।

কুমিল্লা- আসনের প্রার্থীরা

দাউদকান্দি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন এবং মেঘনা উপজেলার আটটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে ভোটার আছেন তিন লাখ ৪৬ হাজার ৮৬২ জন।

নৌকা ও ধানের শীষ নিয়ে এ আসনে আটজন প্রার্থী হয়েছেন। অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির আবু জায়েদ আল মাহমুদ (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বশির আহমেদ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা সুলতান মহিউদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মোহসিন উদ্দিন বেলালী (রিকশা), ইসলামী ঐক্যজোটের মো. আলতাফ হোসাইন (মিনার) এবং স্বতন্ত্র মো. আল আমিন ভূইয়া (সিংহ)।

কুমিল্লা- আসনের প্রার্থীরা

হোমনা পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়ন এবং তিতাস উপজেলারও নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ নির্বাচনী এলাকায় ভোটার দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭৬৫ জন।

নৌকা ও ধানের শীষসহ এ আসনে নয় জন প্রার্থী হয়েছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন- জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ স্বপন (গোলাপ ফুল), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আমির হোসেন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আশরাফুল আলম (হাতপাখা), বিএনএফের মো. গোলাম মোস্তফা (টেলিভিশন), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. জাকির হোসেন (ফুলের মালা), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. নুরে আলম ভূইয়া (হারিকেন) ও স্বতন্ত্র মো. রবিউল ইসলাম (সিংহ)।