তপ্ত রোদের নিচে তীব্র গরমের মধ্যে যাদের বাইরে বাইরে কাজ করতে হয়, এই শহরে তাদের বিশ্রামের জায়গার বড় অভাব।
Published : 06 May 2024, 01:20 AM
“এত গরম জীবনে দেহি নাই। আগে গরম লাগলে গাছের তলে বসতাম, আরাম লাগত। এহন রাস্তায় গাছ তেমন নাই আর ছায়ায় একটু জিরানোর জায়গাও নাই।”
তীব্র গরমে ঘাম মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন ষাটোর্ধ্ব রিকশাচালক আব্দুর ছত্তার।
বয়সের ভার এমনিতেই আয়-রোজগার কমিয়েছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে তীব্র গরমের কষ্ট। আগে টানা দুই ঘণ্টা রিকশা চালাতে পারতেন। এখন একবার যাত্রী নামিয়েই ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
আব্দুল ছত্তার বললেন, “এক বোতল পানির দাম ২০ ট্যাকা। গরমে একটু পানিও কিনতে পারি না। গরম থাইক্যা বাঁচতে ছাতা মাথায় দিতে কয়। কিন্তু ছাতার যে দাম, কই পামু।”
তার মতে, একটু ‘জিরানোর জায়গা’ পেলে এত কিছুর প্রয়োজন হত না খেটে খাওয়া মানুষের।
কাগজে বড় করে লেখা ‘১০ টাকায় ঠান্ডা শরবত’। হাঁকডাক ছাড়াই ফিরোজ মিয়ার ভ্যানের সামনে মানুষের ভিড়। গরমে তার বেচা বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু এমন গরম চান না শরবত বিক্রেতা ফিরোজ।
তিনি বললেন, “ছাতা লইয়া দাঁড়াইয়া থাহি, কিন্তু এই গরম কি সয়! কোথাও এট্টু জিরানোর জায়গা নাই, বসবার জায়গা নাই। খালি মেশিন দিয়া রাস্তায় পানি ছিটাইলে কি আর আরাম পাওন যায়?”
মোহাম্মদপুরে ঘুরে ঘুরে ভাঙ্গারি কেনেন ৪০ পেরোনো হাসনাত হামিদ। তিনি বললেন, “রাস্তায় রাস্তায় থাকতে হয়। কয়দিন আগে গরমে মাথা ঘুরাইয়া পইরা গেছিলাম। রাস্তার মানুষজন পানি খাওয়াইছে। একজন বাড়ির গেইটের ভিতরে বসতে দিছে।”
আব্দুল ছত্তার, ফিরোজ মিয়া ও হাসনাত হামিদের মত যাদের তপ্ত রোদের নিচে তীব্র গরমের মধ্যে বাইরে বাইরে কাজ করতে হয় পেটের তাগিদে, তাদের জন্য দরকার বিশ্রামের জায়গা। এই শহরে তেমন জায়গার বড্ড অভাব।
অবশ্য অনেক উন্নত সমাজে তেমন ব্যবস্থা আছে। তাকে তারা বলে ‘কুলিং স্পেস’ বা ‘কুলিং সেন্টার’।
গরমের মধ্যে সেখানে পথচারীদের জন্য খাওয়ার পানি, চিকিৎসা ব্যবস্থা, ঠাণ্ডা পরিবেশে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকে।
কুলিং সেন্টার কী
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) এনভায়রনমেন্টাল হ্যাজার্ডস অ্যান্ড হেলথ এফেক্টস বিভাগের একটি প্রতিবেদনে তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোক বা অন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে এমন কুলিং স্পেস বা সেন্টার তৈরির কথা বলা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন বলছে, কুলিং স্পেস বা সেন্টার হবে পাবলিক ও ব্যক্তিগত শীতল পরিবেশের স্থান। বিভিন্ন সরকারি ভবন, যেমন স্কুল, লাইব্রেরি, কমিউনিটি সেন্টার, ধর্মীয় উপাসনালয়ে কুলিং সেন্টার করা যেতে পারে। পাশাপাশি শপিং সেন্টার, কফি শপ, সিনেমা হল, পার্ক, জলাশয়ের আশপাশের স্থানেও ভালো কুলিং সেন্টার হতে পারে। সরকারি দপ্তর, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সি চাইলে কুলিং সেন্টার পরিচালনা করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফিলিপিন্সসহ বিভিন্ন দেশে তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এরকম কুলিং সেন্টারের ব্যবস্থা আছে, যা পথচারীদের জন্য বেশ সহায়ক।
কুলিং সেন্টার স্থায়ী ও অস্থায়ী দুই ধরনের কাঠামোতেই তৈরি করা যায়। সিডিসির প্রতিবেদনে ভালো মানের কুলিং সেন্টারে বেশ কয়েকটি সুবিধা রাখার কথা বলা হয়েছে।
হিট স্ট্রোকের মতো ঝুঁকি কমাতে কুলিং সেন্টারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক পাখা, বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন, চিকিৎসা সুবিধা, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা, বরফ, ভেজা তোয়ালে, বসার ও বিশ্রামের ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে ভালো মানের কুলিং সেন্টারে।
আর অস্থায়ী কুলিং সেন্টার যে কোন স্থানে না করে শীতল পরিবেশে করা উচিত, যাতে পথচারীরা এর যথাযথ সুবিধা পেতে পারে।
ঢাকার ‘বিশ্রামাগার’
টানা দাবদাহ বাড়িয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, কমিয়েছে কর্মক্ষমতা। এই গরমে সব থেকে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ আর পথচারী।
এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে তীব্র গরম থেকে স্বস্তি দিতে রাজধানী ঢাকায় তিনটি কুলিং সেন্টার করেছিল বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইট, ফার্মগেইটে তেজগাঁ কলেজের বিপরীত পাশে এবং মগবাজার চৌরাস্তার মুখে এসব কুলিং সেন্টারের কার্যক্রম চালু ছিল দিন দশেক।
পথচারীরা যেন সহজে বুঝতে পারে, সেজন্য এসব কুলিং স্পেস বা সেন্টারের নাম দেওয়া হয় ‘বিশ্রামাগার’। কুলিং সেন্টারের জন্য ঠান্ডা পরিবেশ দরকার হলেও তিনটি বিশ্রামাগারই তৈরি করা হয়েছিল ব্যস্ত সড়কের পাশে, যাতে চলতি পথেই পথচারী, রিকশাচালক, বাসচালক ও শ্রমিকরা পানি খাওয়া, বিশ্রাম ও চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন।
গত ২৪ এপ্রিল কার্যক্রম শুরুর পর বলা হয়েছিল, দাবদাহ না কমা পর্যন্ত এসব বিশ্রামাগার চালু থাকবে। তবে কোনো ঘোষণা ছাড়াই গত ৩ মে কুলিং সেন্টারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (এন্টিপেটরি অ্যাকশন) সহকারী পরিচালক ও সমন্বয়কারী মুহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, “কার্যক্রম আরো কিছুদিন চালু থাকার কথা থাকলেও তাপমাত্রা এখন ৩৬/৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। সে কারণে কুলিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে।
“তবে মে মাসের মাঝামাঝি আবার তাপপ্রবাহ হলে ঢাকার বাইরে ২০টি জেলায় বড় পরিসরে কুলিং সেন্টার করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
তাপদাহে বস্তিবাসীদের স্বস্তি দিতে ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকাতেও এরকম ৯টি কুলিং জোন করার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
কেমন ছিল অভিজ্ঞতা?
৬০০ বর্গফুট জায়গার ওপর শামিয়ানা টানিয়ে বানানো হয়েছিল রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বিশ্রামাগারগুলো। বাতাসের জন্য রাখা ছিল ৬/৭টি স্টান্ড ফ্যান। ছিল পানির ফিল্টার এবং মুক্তা পানির বোতল।
আয়োজকরা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার লিটার পানি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল এসব বিশ্রামাগারে।
শামিয়ানার ভেতরে পথচারীদের জন্য ছিল চেয়ার। অসুস্থ বোধ করলে শুয়ে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ছিল ছোট দুটো বিছানা।
নারী ও শিশুদের জন্য পর্দা ঘেরা বিছানার ব্যবস্থাও ছিল। হিট স্ট্রোক, ব্লাড প্রেশার কমে যাওয়া বা কেউ অসুস্থ বোধ করলে তাদের সেবা দিতে কাজ করেছেন পেশাদার প্যারামেডিক্স ও ফাস্ট এইডার।
ফার্মগেইট বিশ্রামাগারের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা তিথি বৈষ্ণব বললেন, প্রতিটি বিশ্রামাগারের জন্য একটি করে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কোনো জরুরি অবস্থা তৈরি হলে স্বেচ্ছাসেবকরা ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে পারতেন। রোগীকে হলিফ্যামেলি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
প্রতিটি বিশ্রামাগারে মোট ৮ জন স্বেচ্ছাসেবক সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেবা দিয়েছেন সাধারণ মানুষকে। এক একটি সেন্টার থেকে প্রতিদিন সেবা পেয়েছেন প্রায় ৯০০ জন মানুষ।
সারিবদ্ধভাবে রাখা চেয়ারে পাখার বাতাসে কেউ ১০ মিনিট বিশ্রাম নিয়েছেন, আবার কেউ একটু পানি খেয়েই হেঁটে চলে গেছেন। এসব কুলিং সেন্টার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকেও পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
গত ২৮ এপ্রিল দশ বছরের ছেলেকে নিয়ে গাজীপুর থেকে ঢাকায় এসেছিলেন ফাহামিদা আক্তার। গুলিস্থানে কাজ সেরে ফেরার পথে কিছুটা সময় তাকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। ওই সময়টায় তার সাময়িক আশ্রয় হয় রেড ক্রিসেন্টের বিশ্রামাগার।
ফাহামিদা বললেন, “এই গরমে ছোট ছেলেকে নিয়ে কই যাই? রাস্তায় একজন বলল বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাশে বিশ্রামের জায়গা আছে। এসে দেখলাম বিশ্রামের পাশাপাশি পানি আর বাতাসে বসার ব্যবস্থাও আছে। কিছুটা হলেও উপকার পেলাম।”
কারওয়ান বাজারে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আবির আহমেদ। ২৮ এপ্রিল অফিসের কাজে বাইরে বের হয়ে গরমে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। রাস্তার পাশেই বিশ্রামাগারটি দেখে সেখানে ঢোকেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “একজন কর্মী আমার প্রেশার মেপে কম পেল। তাই স্যালাইন খেয়ে কিছু সময়ে শুয়ে রেস্ট নিলাম। তবে আশপাশে গাছ না থাকায় আর রাস্তার পাশে হওয়ায় ওই জায়গাটাও বেশ গরম।”
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এ উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং দুই সিটি কর্পোরেশনও যুক্ত ছিল। তবে তারা কেবল অনুমতি বা পরামর্শ দিয়েছে।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহকারী পরিচালক ও সমন্বয়কারী মুহাম্মদ শাহাজাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনটি বিশ্রামাগারই ছিল অস্থায়ী এবং পূর্বাভাস নির্ভর। অসহনীয় তাপমাত্রা ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জনসাধারণের ক্ষতি কমাতে এমন কুলিং সেন্টার করা হয়েছিল। যদিও স্থায়ীভাবে কুলিং সেন্টার স্থাপন সম্ভব। তবে সেটা কেবল সরকারের কোনো বিভাগই করতে পারে।”
শাহাজাহান বলেন, সংসদ ভবন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও দুটি কুলিং সেন্টার বা বিশ্রামাগার করার পরামর্শ দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। মূলত অনুমোদনের অভাবেই আরো দুটো বিশ্রামাগার বা কুলিং সেন্টার করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকায় কত কুলিং সেন্টার দরকার
ঢাকা শহরে ধারণ ক্ষমতার অনেক গুণ বেশি মানুষের বসবাস। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ ও জনবহুল এলাকায় কিছুদূর পরপর এমন বিশ্রামাগার বা কুলিং সেন্টার থাকা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি থেকে ২৪ এপ্রিল প্রকাশ করা ‘তাপপ্রবাহ: বাংলাদেশ, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সব মিলিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ শতাংশ এলাকা তীব্র তাপপ্রবাহের বিপদে রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ধানমন্ডি, আদাবর, কামরাঙ্গীরচর, মিরপুর, মতিঝিল, ফার্মগেট, মহাখালী, কারওয়ান বাজার ও গুলশানের মত এলাকা।
এসব জায়গায় কুলিং সেন্টার স্থাপনের জন্য সরকার এ ধরনের গবেষণা ও প্রতিবেদনকে অনুসরণ করতে পারে বলে মনে করেন মুহাম্মদ শাহাজাহান।
তবে গরমের বিপদ কমাতে সবুজায়নকেই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলছেন এই কর্মকর্তা। তার ভাষ্য, একটি গাছ রোপনের পরে তা বড় হয়ে ছায়া তৈরি করতে ৫ থেকে ৭ বছর লাগে। তাই যত দিন না শহরে সবুজায়ন বাড়ছে, কুলিং সেন্টার অস্থায়ীভাবে কিছুটা উপকারে আসতে পারে। গাছের সংখ্যা বাড়লে ও প্রাকৃতিক শেড তৈরি হলে এ ধরনের কুলিং সেন্টার তৈরির চাপ কমে আসবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম গত ৩ মে উত্তরায় রিকশাচালকদের মধ্যে ছাতা, পানির বোতল ও স্যালাইন বিতরণের সময় বলেন, “আমি করপোরেশনের সমাজ উন্নয়ন বিভাগকে বলেছি, নয়টি জায়গায় বস্তিবাসীদের জন্য কুলিং জোন করে দিতে। কুলিং জোনে শেড থাকবে, ফ্যান থাকবে।”
তবে অস্থায়ীভাবে শামিয়ানা টানানো এ ধরনের কুলিং সেন্টার যে আদর্শ কুলিং সেন্টার নয়, সে কথা বললেন বোয়ালমারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এখন রোদের প্রখরতা সাধারণ সময়ের থেকে অনেক বেশি। এছাড়া তাপ যে শুধু মাথায় লাগে না নয়, শরীরে তাপের প্রভাব পড়ছে চারপাশ থেকে। তাই শুধুমাত্র শামিয়ানা টানানো এ ধরনের কুলিং সেন্টার সাময়িকভাবে ছায়ার কাজ করেছে।”
আদর্শ কুলিং সেন্টারের জন্য উপর ও চারপাশের আস্তরণ হতে হবে ভারী। ছাদের জন্য সিরামিক বা সিমেন্টের তৈরি টিন অনেকটাই তাপের তীব্রতা কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়া চারপাশে ফয়েলের তৈরি অস্থায়ী দেয়ালের ব্যবস্থা করতে পারলে অনেকটা উপকার পাওয়া যাবে বলে মনে করেন এই চিকিৎসক।