বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজাকে দেখতে যান তারা।
যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের সঙ্গে যুগ্ম সম্পাদক কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি ও সংগঠনের নেত্রী ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনকে দেখা যায় ছবিতে।
পিনহেইড ল্যারি নামের একটি নিক থেকে লেখা হয়েছে, “ফাজিল।”
এসএমডি অপু নামে একজন লিখেছেন: “মানুষের বিপদে পাশে থাকতে হয়। এরা আসলে নামে মানুষ আর কাজে অমানুষ।”
জাহিদুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, “আন্টি মনে মনে যে কোনো একটা গালি চিন্তা করেন, মনে করেন আমি এটা দিছি আপনাকে… আমি আমার মুখ খারাপ করলাম না…!”
কাজী ফাতিহা বিনতে হাবিব লিখেছেন: “ইনহিউম্যানিটি অ্যাট ইটস বেস্ট।”
তানজিম রাফিন লিখেছেন: “ইফ আই অ্যাম নট রং সি ইজ মেনটালি ডিস্টার্বড পারসন।”
আহাদ আলী আদনান লিখেছেন, “অমানুষ।”
ওয়ালি খান রাজু লিখেছেন, “দেখতেই লাগে শয়তানের মত।”
ইমা ইশরাত প্রশ্ন করেছেন: “এরা কি মানুষ?”
তানজিলা তানজিলা নামের অ্যাকাউন্ট থেকে সেখানে মন্তব্যে লেখা হয়েছে: “এরা সেলফি তোলার আর জায়গা পেল না!”
‘ডেসপারেটলি সিকিং-ঢাকা’ নামের একটি গ্রুপে তুহিনের ছবি শেয়ার করে বলা হয়েছে, “আন্টি ফটোসেশনটা কেমন হইসে? ফ্রেন্ডস, শেম অন ইউ আন্টি এর বাচ্চা।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অপু উকিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খাদিজা মারা গেছে-এ রকম অপপ্রচার চালানো হচ্ছিল। আজকে আমরা দেখতে গেছি, সে যে সুস্থ হয়ে উঠছে তা বোঝাতে ফেইসবুকে ছবি দিয়েছে তুহিন।”
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রী এখন স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বুধবার হাসপাতালে গিয়ে তাকে দেখে আসেন।