মঙ্গলবার সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কার্য অধিবেশন শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে জঙ্গি এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় তথ্য পাওয়ার একটা যথাযথ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারের সুযোগটা নেওয়ার জন্য বলেছি জেলা প্রশাসকদের।
“সোশ্যাল মিডিয়াতে তারা যেন অ্যাক্টিভ থাকে। ফেইসবুকসহ অন্যান্য কমিউনিকেশন অ্যাপ আছে সেগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার করে ‘ক্লাউড সোর্স প্ল্যাটফর্মকে’ ডেভেলপ করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করতে হবে।”
সোশ্যাল মিডিয়াকে গুরুত্ব দিয়ে আরও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও পলক জানান।
তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকরা সুপারিশ করেছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে উচ্চগতির ইন্টারনেট দেওয়া হচ্ছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট স্পিড ৫ এমবিপিএস হবে, গতি বৃদ্ধি করার আবেদন দিলে তা বাড়িয়ে দেওয়া হবে।”
এছাড়া দ্বীপ এলাকা যেমন ভোলাসহ অন্যান্য স্থানগুলোতে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে পল্লী বিদ্যুতের পোলগুলো ব্যবহার করা হবে বলেও তাদের জানানো হয়েছে।
মাঠ পর্যায়ে যেসব ডিজিটাল ল্যাব হচ্ছে, সেগুলোর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে বলে জানান পলক।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন
সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জেলা প্রশাসকদের আশ্বস্ত করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের কার্যঅধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আবাসন সমস্যা সমাধানে কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের চাকরির অবস্থান অনুয়ায়ী বিভিন্ন মাপের অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়া হবে। ৮০০ স্কয়ার ফুট থেকে সাড়ে তিন হাজার স্কয়ার ফুট মাপের এই অ্যাপার্টমেন্ট হবে।
এছাড়া যে সব সার্কিট হাউজ উপরের দিকে সম্প্রসারণ করা সম্ভব সেগুলো পর্যায়ক্রমে করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।