লাল বালিতে পড়ে থাকা পেঁচানো সুতো বা তারের কুণ্ডলির মত দেখতে ওই বস্তুর ছবি ধরা পড়েছে নাসার রোভার পারসিভের্যান্সের ক্যামেরায়।
সিএনএন লিখেছে, গত ১২ জুলাই রোভারের সামনে বাঁ পাশের ক্যামেরাটি হালকা রঙের ওই বস্তুর ছবি তুলেছে, যাকে নুডুলসের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। নাসার বিজ্ঞানীদের অনুমান, রোভারের অবতরণের সময়ই ওই বস্তুটি মঙ্গলের মাটিতে পড়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে পারসিভের্যান্স মিশনের এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেছেন, এটি রোভার থেকে কিংবা মঙ্গলের মাটিতে রোভারের অবতরণের মূহূর্তে জেটপ্যাক থেকে এসেছে।
রোভারকে নিরাপদে মঙ্গলের মাটিতে নামানোর কাজে রকেটচালিত যে জেটপ্যাক ব্যবহৃত হয়েছে, তার সঙ্গে ওই বস্তুটির মিল আছে।
কিন্তু যে এলাকায় বস্তুটি পাওয়া গেছে সেখানে আগে নাসার রোভার আগে যায়নি। সেক্ষেত্রে বাতাস সেটিকে উড়িয়ে নিয়ে সেখানে ফেলে থাকতে পারে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলের বিষুবরেখার উত্তরে জেজেরো ক্রেইটার নামের ৪৯ কিলোমিটার চওড়া এক মৃত জ্বালামুখে অতিক্ষুদ্র প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে রোভার পারসিভের্যান্স।২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সেখানেই অবতরণ করেছিল ওই রোবব যান।
চারদিন পর পারসিভের্যান্স যখন ওই এলাকায় প্রদক্ষিণ করে, সেময় বস্তুটিকে আর দেখা যায়নি। যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে সেটি।
অবতরণের পর থেকে রোভারের ক্যামেরায় ধরা পড়া এটিই প্রথম অদ্ভুত বস্তু নয়। জুনের মাঝামাঝিতে চকচকে ধাতু খণ্ডের ছবি পাঠিয়েছিল পারসিভের্যান্স।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, সেটি ওই রোভারেরই থার্মাল ব্লাঙ্কেটের অংশ, যা মূলত মেশিনটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সেটিও অবতরণের সময় রোভার থেকেই আলাদা হয়েছিল বলে মনে করছেন তারা।