ক্রায়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপির গবেষণায় ৩ বিজ্ঞানীর নোবেল  

প্রাণিদেহের রসায়নে একেবারে আণবিক পর্যায়ে আসলে কী ঘটে, সেই ছবি ধারণ করতে ক্রায়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপির উন্নয়ন ঘটিয়ে রসায়নের নোবেল জিতে নিয়েছেন তিন বিজ্ঞানী।  

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2017, 10:43 AM
Updated : 5 Oct 2017, 05:11 AM

রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস বুধবার এ পুরস্কারের জন্য সুইজারল্যান্ডের জাক দুবোশে, জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান ইওয়াখিম ফ্রাঙ্ক এবং স্কটিশ রিচার্ড হেন্ডারসনের নাম ঘোষণা করে।  

অ্যাকাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আণবিক পর্যায়ে প্রাণ রসায়নের গবেষণায় এতদিন ফাঁক থেকে যেত কারণ বিদ্যমান প্রযুক্তি দিয়ে ওই পর্যায়ের ছবি পাওয়া সম্ভব ছিল না। ক্রায়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি তা সম্ভব করেছে। ওই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণা বায়োকেমিস্ট্রিকে পৌঁছে দিয়েছে নতুন যুগে।   

“গবেষকরা এখন কোষের আণবিক পর্যায়ের যে কোনো অবস্থার ছবি ধারণ করে ধারণ করতে পারবেন, যা জীবনের মৌলিক রসায়ন বোঝার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।”  

নোবেল জয়ের খবরে অধ্যাপক ফ্রাঙ্ক টেলিফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ক্রায়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপির বাস্তব প্রয়োগের সম্ভাবনা বিশাল।

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক ইওয়াখিম ফ্রাঙ্ক জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪০ সালে জার্মানিতে।  ১৯৪৫ সালে স্কটল্যান্ডে জন্ম নেওয়া রিচার্ড হেন্ডারসন কেমব্রিজের এমআরসি ল্যাবরেটরি অব মলিকিউলার বায়োলজির গবেষক। আর ১৯৪২ সালে সুইজারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া জাক দুবোশে অধ্যাপনা করেন লোজান বিশ্ববিদ্যালয়ে।

 

এবার নোবেল পুরস্কারের ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার এই তিন বিজ্ঞানী ভাগ করে নেবেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

গত সোমবার চিকিৎসায় নোবেল ঘোষণার মধ্যে দিয়ে এবার নোবেল মওসুম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়েছে পদার্থবিদ্যায় এবারের বিজায়ীদের নাম।

আগামী শুক্রবার শান্তি এবং আগামী ৯ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। আর সাহিত্য পুরস্কার কবে ঘোষণা করা হবে, সে তারিখ পরে জানানো হবে বলে নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।

মলিকিউলার মেশিন বা ন‌্যানোমেশিন উদ্ভাবনের গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে গতবছর ফ্রান্সের জ‌্যঁ পিয়েরে সোভাজ, যুক্তরাজ‌্যের ফ্রেজার স্টুডার্ট এবং নেদারল‌্যান্ডসের বার্নার্ড এল. ফেরিঙ্গারকে রসায়নের নোবেল দেওয়া হয়।