হবিগঞ্জের বাহুবলে আবদুল আলী বগালের লেবু বাগানে চার শিশুকে খুন করা হয়েছিল বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছেন এক আসামি।
Published : 02 Mar 2016, 06:32 PM
শাহেদ বুধবার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে আট থেকে নয়জনের জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছেন বলেও জানান ডিবি কর্মকর্তা মোক্তাদির হোসেন।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি আলী ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তার দুই ছেলে জুয়েল ও রুবেলও গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এই হত্যাকাণ্ডের চতুর্থ আসামি হিসেবে বুধবার হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাউসার আলমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন শাহেদ।
আলীর দুই ছেলে ছাড়া এর আগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এসেছে তাদের প্রতিবেশী আরজু মিয়ার কাছ থেকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোক্তাদির হোসেন আসামি শাহেদের জবানবন্দি উদ্ধৃত করে সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আবদুল আলীর নেতৃত্বেই শিশুগুলোকে হত্যা করা হয়।
“আবদুল আলীর লেবু বাগানে নিয়ে চার শিশুকে হত্যা করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ৮/৯ জন।”
হত্যার পর শিশুগুলোর লাশ গ্রামের একটি বিলের ধারে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল।
দুই দফায় আট দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার বিকালে সাহেদকে আদালতে নিয়েছিল পুলিশ। জবানবন্দি নেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তাজেল মিয়া (১০), মনির মিয়া (৭) ও ইসমাইল হোসেন (১০)।
পাঁচ দিন পর ইছাবিল থেকে তাদের বালিচাপা লাশ উদ্ধারের পর দেশজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়। গ্রামের পঞ্চায়েতের বিরোধ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া র্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন মামলার অন্যতম প্রধান আসামি বাচ্চু।