এদিকে, এই শিশুটি ও তার দুই ভাই-বোনের সহায়তার জন্য খোলা ব্যাংক একাউন্টে এ পর্যন্ত দুই লক্ষাধিক টাকা জমা পড়েছে বলে ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে নবজাতকের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য সচিব ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। শ্বাসকষ্ট কিছুটা কমেছে। তবে জন্ডিসের কোনো উন্নতি হয়নি। এছাড়াও অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষায় বড় ধরনের কোনো জটিলতা বা ইনফেকশন পাওয়া যায়নি।
“তারপরও শিশুটির হাড় ভাঙা রয়েছে। তাই শিশুটিকে এখনই শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। শঙ্কামুক্ত বলতে সময় লাগবে।”
১৬ জুলাই দুপুরে উপজেলার রাইমনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম মেয়ে সানজিদাকে (৬) সঙ্গে নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্নার আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে ত্রিশালে যান। পৌর শহরের খান ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম, রত্না বেগম নিহত হন। এ সময় রত্না বেগমের এক মেয়ে ভূমিষ্ঠ হয়। শিশুটির ডান হাতের দুটি স্থান ভেঙে গেলেও সে বেঁচে যায়।
লাবীব হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে তার জন্ডিস, রক্ত স্বল্পতা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় শিশুটিকে এনআইসিইউতে নেওয়া হয়।
সোমবার (১৮ জুলাই) রাতে শিশুটিকে ময়মনসিংহ নগরীর বেসরকারি লাবীব প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনাইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শিশুটির চিকিৎসায় ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে।
এদিকে, তিন দিনে এই নবজাতকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ লাখ ৪ হাজার টাকা জমা পড়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, বিকাল ৬টায় নেওয়া তথ্যমতে ওই অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৭৮৫ টাকা।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় সোনালী ব্যাংকের ত্রিশাল শাখায় ‘রত্না আক্তার রহিমার নবজাতক ও অপর দুই সন্তানের সহায়তা হিসাব’ শিরোনামের একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়।
‘৩৩২৪১০১০২৮৭২৮’ নম্বরের সঞ্চয়ী হিসাবটি নবজাতকের দাদা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: