বৃহস্পতিবার বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন নিহত অটোরিকশার যাত্রী আমির হোসেন চৌধুরীর ছেলে জুবায়েদ ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন বিআরটিসির বাসটির চালক বরিশালের গৌরনদীর কাসেমাবাদের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর ও সহকারী বরিশাল নগরীর টিয়াখালীর নান্না মিয়ার ছেলে সাইদুল।
বুধবার দুপুরে বাকেরগঞ্জ উপজেলার হেলিপ্যাড মাঠ এলাকায় বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কে বিআরটিসির একটি বাস যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে এক শিশু ও তার মা-সহ ছয়জন নিহত হন।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোবাহান চৌধুরীর ছেলে আমির চৌধুরী, রফিক খানের ছেলে হাসিব খান (২২), বারেক সিকদারের ছেলে সোহাগ সিকদার (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভুবন এলাকার মো. নাসিরের স্ত্রী তানজিলা (৩০), বরিশালের আগৈলঝাড়ার মো. ফয়সালের স্ত্রী সাথী বেগম (২২) ও তাদের মেয়ে ফারহানা (৪)।
ফারহানার বাবা মো. ফয়সাল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাকেরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সত্যরঞ্জন খাসকেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে মৃত্যু ঘটানো ও গুরুতর আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
“আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাস পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।”
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, যাত্রীবাহী অটোরিকশায় তার বাবাসহ ছঢ যাত্রী বাকেরগঞ্জের ভরপাশা রুইতার পোলের উদ্দেশে রওনা হন। বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে পৌঁছালে বাসের চালক দ্রুতগতিতে চালানো এবং সহকারীর অসর্তকতার কারণে অটোরিকশাকে চাপা দেয়।
এদিকে, বুধবার রাতে বিআরটিসির কর্তৃপক্ষ নিহতদের দাফন কাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
বিআরটিসির বরিশাল ডিপোর ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. জাহাঙ্গীর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিআরটিসির চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার করে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
ব্যবস্থাপক আরও জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাস দীর্ঘ মেয়াদী ইজারা দেয়া হয়েছিল। চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা মো. গিয়াস উদ্দিনকে এ বাসটি ইজারা দেওয়া হয়। এর চালক ও হেলপার এবং বাসের রক্ষণাবেক্ষণের দায় ইজারাদারের।
এ দুর্ঘটনার পর তার সঙ্গে ইজারার চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে ডিপো ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন।