ময়মনসিংহের সড়কে ভূমিষ্ঠ সেই নবজাতক ‘শঙ্কামুক্ত নয়’ 

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাক চাপায় মায়ের মৃত্যুর মধ্যে জন্ম নেওয়া সেই শিশুর স্বাস্থ্যের জটিলতা দেখা দিয়েছে।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2022, 12:17 PM
Updated : 19 July 2022, 12:37 PM

রোববার রাতে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (এনআইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুটি জন্ডিসের পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট ও রক্ত স্বল্পতায় ভুগছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 

তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের প্রধান ডা. তফাজ্জল হোসেন খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। 

গত শনিবার ত্রিশাল পৌর শহরের খান ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক চাপায় এই নবজাতকের মা, বাবা ও বোন নিহত হয়। ওই সময়ই তার জন্ম হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান ডা. তফাজ্জল হোসেন খান বলেন, ওই শিশু ময়মনসিংহের বেসরকারি লাবিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সেখানে থেকে সোমবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।

“নবজাতকটি জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি রক্ত স্বল্পতা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে। মঙ্গলবার দুপুরে তার শরীরে রক্ত দেওয়া হয়েছে। এখন অক্সিজেন চলছে।” 

তিনি আরও বলেন, শিশুটির হাত ভাঙার পাশাপাশি মনে হচ্ছে ঘাড় ও পিটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় জন্ডিস, শ্বাসকষ্ট এবং রক্ত স্বল্পতা সেরে গেলে আলট্রাসনোগ্রাম করা হবে।

“তবে শিশুটি শঙ্কামুক্ত নয়। যেকোনো সময় অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে। আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার জন্য।” 

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার জন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এছাড়াও শিশুটির পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। 

শনিবার দুপুরের পরে ত্রিশাল উপজেলার রাইমনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৪০) তার অস্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না আক্তার (৩০), মেয়ে সানজিদা আক্তারকে (৬) নিয়ে আল্টাসনোগ্রাম করাতে ত্রিশালে আসেন। পৌর শহরের খান ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী রত্না ও মেয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। এ সময় ট্রাক চাপায় রত্নার এই কন্যা জন্ম নেয়।

আরও পড়ুন: