রাজু আহমেদ শিপন নামে ওই ট্রাক চালককে সোমবার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মঙ্গলবার র্যাবের এক বার্তায় জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, পরে সংবাদ সম্মেলন করে শিপনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।
গত শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ত্রিশাল পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ওই দুর্ঘটনায় ত্রিশালের রাইমনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার স্ত্রী রত্না বেগম (৩০) এবং মেয়ে সানজিদা খাতুন (৬) মারা যায়। মৃত্যুর আগে রত্না বেগম সড়কেই এক নবজাতকের জন্ম দেন।
জাহাঙ্গীর আলম অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে এসেছিলেন, সঙ্গে তাদের মেয়ে সানজিদাও ছিল।
খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় ময়মনসিংহগামী ট্রাকটি তাদের চাপা দেয়। রাস্তার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় সন্তানের জন্ম দেন রত্না। তার পরপরই তিনি মারা যান। পাশেই পড়েছিল স্বামী জাহাঙ্গীরের মরদেহ।
ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীরের বাবা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু রোববার রাতেই ত্রিশাল থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলাতেই চালক শিপনকে গ্রেপ্তার করা হল।
রত্নার রেখে যাওয়া নবজাতকের দায়িত্ব নিয়েছেন তার দাদা ও দাদি। কিন্তু সেজন্য তারা সরকার ও বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু ও তার স্ত্রী সুফিয়া আক্তার দুইজনই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাদের আরেক ছেলে ২০০৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
পুরনো খবর