সালিশের প্রায় তিন সপ্তাহ পর কিশোরীর মা হাতিয়া থানায় মামলা করেন বলে ওসি আমিরুল ইসলাম জানান।
রোববার বিকেলে নোয়াখালীর জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনীতা গুহ কিশোরীর জবানবন্দি নেন। এর আগে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ জুন রাতে কিশোরী বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে চানন্দী বাজারের পল্লি চিকিৎসক জহির উদ্দিন তাকে মুখ চেপে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। কিশোরীর পরিবার মামলার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু চানন্দী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মালেক ফরাজী, ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য খালেদা আক্তারের স্বামী তাজুল ইসলাম মীমাংসার কথা বলে উভয়পক্ষ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে সই নেন। গভীর রাতে কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে জহির উদ্দিনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন সালিশে।
কিশোরীর মা বলেন, এর প্রতিবাদে গত ১৩ জুলাই তিনি আব্দুল মালেক ফরাজী, তাজুল ইসলামসহ পল্লি চিকিৎসক জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দেন। কিন্তু পুলিশ এজাহার থেকে সালিশকারীদের নাম বাদ দিয়ে কেবল জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে।
তবে ওসি আমিরুল ইসলাম এজাহার থেকে কারও নাম বাদ দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, “তদন্তে যার যার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।”
এদিকে সালিশ আয়োজনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “মালেক ফরাজী সালিশে জহিরকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন এবং স্ট্যাম্পে সই নিয়েছেন। আমি এ বিষয়ে একমত ছিলাম না। আমি মামলা করতে বলেছি।”
মালেক ফরাজীর সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এলাকায় অনেক বিষয়ে সালিশ বৈঠক করতে হয়। গত কয়েক দিনের মধ্যে কোনো সালিশ বা জরিমানা করছি বলে মনে পড়ছে না।”