সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে শরীয়তপুর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়কটি যেমন ভাঙাচোরা তেমনি অপ্রশস্ত। এর সঙ্গে আবার যোগ হয় যানজট।
শরীয়তপুর সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. ফারুক আহম্মেদ তালুকদার বলেন, “জাজিরা টিঅ্যান্ডটি মোড়, কাজীরহাট বাজার, ডিগ্রি বাজার, প্রেমতলা সেতু, সাহেব বাজার ও দৈনিক বাজার এলাকায় প্রতিদিন কয়েক দফায় যানজট হয়। তখন ২৭ কিলোমিটার সড়ক পার হতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হয়।”
বিশেষ করে জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে থেকে সংযোগ সড়কের নাওডোবা জমাদ্দার মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটারে যানজট বেশি থাকে।
যাত্রীরা বলছেন, এই পথে তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। দুর্ঘটনার আতঙ্ক মাথায় থাকে সারাক্ষণ।
নাওডোবা এলাকার সোহেল বেপারী, সিরাজ মিয়া, রয়েল মুন্সিসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পদ্মা সেতুর জন্য বাপ-দাদার ভিটামাটি হারিয়েছেন তারা। এখন সংযোগ সড়ক বেহাল হওয়ায় তারা পদ্মা সেতুর সুফল পাচ্ছেন না।
ইতোমধ্যেই সড়কটি পুনর্নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদিত হলেও সওজের গাফিলতিতে কাজ এগোচ্ছে না বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
প্রকল্পটি কয়েক বছর আগেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এক হাজার ৬৮২ কোটি টাকার প্রকল্পটি ২০২৪ সালের ৩০ জুন নাগাদ বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে। জমি অধিগ্রহণ জটিলতার নিরসন হলে দ্রুত এগিয়ে যাবে কাজ।
পুরনো খবর: